মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিমী মৌসুমী বায়ুর এগিয়ে যাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সাগরে। তবে আগামিকাল সমুদ্রে তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এর জেরে বর্ষার আগমনে বিলম্ব ঘটবে। তবে তার আগে বহু জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
1/7 দেশে বর্ষা দেরিতে ঢোকায় বাংলায় মৌসুমী বায়ু ঢুকবে আরও দেরিতে। তবে এরই মধ্যে অল্প বিস্তর বৃষ্টি হতে থাকবে রাজ্যে কিছু কিছু জেলায়। এদিকে দক্ষিণ ভারতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তাছাড়া ভারতের পশ্চিম উপকূলেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
2/7 মৌসম ভবন জানিয়েছে, আন্দামানে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। এই আবহে আগামী ৭ জুন পর্যন্ত সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এদিকে কেরল, মাহে এবং লাক্ষাদ্বীপের কাছেই একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যেটি আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এই আবহে আগামী ৭ থেকে ৯ জুন এখানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে ৭ তারিখ দক্ষিণ কর্ণাটকের অভ্যন্তরীণ এলাকাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
3/7 হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণ আরব সাগর, মালদ্বীপ এবং কোমোরিন এলাকার দিকে এগিয়ে এসেছে দক্ষিণ-পশ্চিমী মৌসুমী বায়ু। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপরও বিরাজ করছে মৌসুমী অক্ষরেখা। বর্তমানে মৌসুমী বায়ুর অক্ষরেখার উত্তর সীমা রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ এবং কেরলের দক্ষিণপশ্চিম দিকে।
4/7 অপরদিকে বর্তমানে একটি নিম্নচাপ দক্ষিণপূর্ব আরব সাগরে অবস্থিত। গোয়া থেকে ৯২০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মুম্বই থেকে ১১২০ পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং গুজরাটের পোরবন্দর থেকে ১১৬০ দক্ষিণে রয়েছে এই নিম্নচাপ। এটি উত্তর অভিমুখে এগোতে থাকবে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় 'বিপর্যয়'-এ পরিণত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
5/7 এর জেরে ৮ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে কেরল থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ কর্ণাটকের অভ্যন্তরীণ এলাকাগুলিতেও বৃষ্টি হতে পারে এই সময়ে। এরপর ৯ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বৃষ্টি হবে গুজরাটের উপকূলীয় এলাকায়।
6/7 এদিকে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা আসার নির্ধারিত সময় জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ। তবে গত দশকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেরি হয়েছে রাজ্যে বর্ষার আগমন। এদিকে এবার কেরলেও দেরিতে বর্ষা ঢুকছে। তাই পশ্চিমবঙ্গে আরও দেরিতেই বর্ষা প্রবেশ করতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও স্বস্তি মিলবে না।
7/7 হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৭ জুন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হতে পারে। সেদিন দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হতে পারে। এরপর ৮ তারিখও এই দুই জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। অপরদিকে ৮ জুন উত্তরবঙ্গের দুই পার্বত্য জেলা ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টি হবে না। ৯ এবং ১০ জুন দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এই দুই দিন আবার উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচ জেলায় মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।