সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছিলেন, শাহরুখ খানকে তিনি চেনেন না। সেদিনই গভীর রাতে হিমন্তকে ফোন করেছিলেন শাহরুখ। সেই ফোনালাপের কথা আবার টুইট করে জানিয়েছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেই সময় শাহরুখ খানকে 'শ্রী' সম্বোধন করেছিলেন। আর তা নিয়ে হিমন্তকে অনেকেই খোঁচা মেরেছিলেন। এবার সেই 'শ্রী' সম্বোধনের কারণ ব্যাখ্যা করলেন হিমন্ত।
1/5শাহরুখ খানকে চিনতে পারেননি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। শাহরুখের সিনেমা 'পাঠান' নিয়ে বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হিমন্ত পালটা প্রশ্ন করেছিলেন 'কে শাহরুখ?' এরপর বলেছিলেন, 'কোনও উদ্বেগ থাকলে আমাকে ফোন করা উচিৎ ছিল শাহরুখের।' হিমন্তের এই মন্তব্যের পরই অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন শাহরুখ।
2/5হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সেই ফোনালাপের কথা জানিয়ে টুইট করেন। হিমন্ত জানান, তিনি শাহরুখকে আস্বস্ত করেছেন যে 'পাঠান' নির্বিঘ্নে প্রদর্শিত হবে অসমে। তবে শাহরুখের এই ফোনের আগে হিমন্তের গলায় ছিল অন্য সুর। এর আগে শাহরুখ অভিনীত সিনেমা পাঠান নিয়ে চরম বিতর্ক ও বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী পালটা প্রশ্ন করেছিলেন, 'কে শাহরুখ খান?' তিনি দাবি করেন, তিনি শাহরুখ খানকে চেনেন না বা তাঁর সিনেমা পাঠান সম্পর্কে অবগত নন।
3/5হিমন্ত টুইট বার্তায় করে লেখেন, 'বলিউড অভিনেতা শ্রী শাহরুখ খান আমাকে ফোন করেছিলেন এবং আমরা আজ সকাল ২টোর সময় কথা বলেছিলাম। তিনি তাঁর সিনেমার স্ক্রিনিংয়ের সময় গুয়াহাটিতে একটি ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। আমি তাঁকে আশ্বস্ত করেছি যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। আমরা খোঁজখবর নেব এবং এ ধরনের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটবে তা নিশ্চিত করব।'
4/5এই টুইট বার্তায় শাহরুখের নামের আগে 'শ্রী' লেখা নিয়ে খোঁচা দেওয়া হয় হিমন্তকে। তা নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, 'আমি কাউকে ফোন করিনি। অভিনেতাই (শাহরুখ খান) আমাকে ডেকে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে আমি তাঁকে আশ্বাস্ত করি। সেটার মাধ্যমে শুধুমাত্র আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রতিফলিত হয়। এটা নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নেই।'
5/5শাহরুখের সঙ্গে ফোনালাপের আগে হিমন্ত বলেছিলেন, অসমের লোকেদের অহমিয়া সিনেমা নিয়ে মাতামাতি করা উচিত। শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে অহমিয়া সিনেমা 'ডঃ বেজবড়ুয়া পার্ট ২'। তিনি সকলকে সেই সিনেমা দেখার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, অসমে 'পাঠান' সিনেমাটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বজরং দলের সদস্যরা। পাশাপাশি সিনেমার পোস্টার ছিঁড়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।