'বুরা না মানো, হোলি হ্যায়'। হোলির দিন নিজেদের কর্মস্থলে অনেকেই আবীর খেলে, ভালো-মন্দ খেয়ে উদযাপন করে থাকেন। ঠিক সেরকমটাই করেছিলেন স্পাইসজেটের দুই পাইলট। আবীর তাঁরা খেলেননি, তবে ককপিটে বসে গুজিয়া আর কফি খেয়ে হোলি উদযাপন করেন দু'জনে। আর তাঁদের এই কাণ্ডে হতবাক অনেকেই। আপাতত এই দুই পাইলটকেই 'ডি-রস্টার' করা হয়েছে।
1/4জানা গিয়েছে, বিমানের কনসোলের ওপরে একটি কাগজের কাপে কফি রেখে হাতে গুজিয়া নিয়ে খাচ্ছিলেন দুই পাইলট। সেই কফি যদি কনসোলে পড়ে যেত, তাহলে যান্ত্রিক গোলযোগের সম্ভাবনা থাকত। মাঝ আকাশে বিমানে বিপত্তিও দেখা দিতে পারত। এই ধরনের 'অপেশাদার আচরণের' কারণে দুই পাইলটের বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ। (HT_PRINT)
2/4
ঘটনা প্রসঙ্গে স্পাইসজেটের মুখপাত্র বলেন, 'উভয় পাইলটের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ততদিন তাঁদের রস্টার থেকে বাদ দেওয়া হল। ককপিটের ভিতরে খাবার খাওয়ার নিয়ম নেই এমনিতেই। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করার ক্ষেত্রে স্পাইসজেটের একটি কঠোর নীতি রয়েছে। সমস্ত ফ্লাইট ক্রু সদস্যদের সেই নিয়ম মেনে চলতে হবে। তদন্ত শেষে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
(HT_PRINT)
3/4উল্লেখ্য, একের পর এক বিপত্তির জেরে এর আগে স্পাইসজেটের হাতে নোটিশ ধরিয়েছিল ডিজিসিএ। স্পাইসজেটের সূচি অনুযায়ী ৫০ শতাংশ বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গতবছর। এই নোটিশ পাঠানোর আগের ১৭ দিনে আটবার বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিল স্পাইসজেটের বিমান। পরে সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয় গত সেপ্টেম্বরে। (HT_PRINT)
4/4এদিকে গতবছর দুর্গাপুরগামী স্পাইসজেটের এক বিমানে টার্বুলেন্সের সময়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন এক যাত্রী। সেই ঘটনার প্রায় পাঁচমাস পর সেই আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। মৃত্যুর শংসাপত্র অনুসারে, মেরুদণ্ডের আঘাতের তীব্রতায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত যাত্রীর নাম আকবর আনসারি (৪৮)। ওই ব্যক্তি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার বাসিন্দা। এদিকে মৃত যাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, স্পাইসজেট চিকিত্সার জন্য অর্থ প্রদান করলেও কোনও ক্ষতিপূরণ দেয়নি। (HT_PRINT)