করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভীতি তৈরি হয়েছে শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে। শিশুর বাবা-মায়েদের পাশাপাশি আতঙ্কের শিকার হচ্ছেন সন্তানের জন্ম দিতে চলা দম্পতিরাও। ভাইরাস এড়াতে নির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
1/7চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস রোধ করতে এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাক্সিনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই কারণে, শুধুমাত্র কিছু স্বাস্থ্য সম্মত টিপ্সই সংকেরমণ রুখতে কাজে লাগাতে হবে। ঋতু পরিবর্তনের সময় সাধারণ সর্দি-কাশি এড়াতে যে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করা হয়, এ ক্ষেত্রে সেগুলি পালন করলেই সুফল মিলবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
2/7প্রথমেই জোর দেওয়া উচিত হাত ধোওয়ার উপরে। সামান্য গরম জলে সাবান দিয়ে ঘষে ঘষে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। শিশুদের শেখাতে হবে, শুমাত্র হাতের তালু নয়, নখের ভিতর ও আঙুলের ফাঁকও সাবানজল দিয়ে রগড়ে ধুয়ে নিতে হবে। তবে এর জন্য বেশি গরম জল ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
3/7হাঁচি বা কাশি পেলে সব সময় কনুইয়ের ভাঁজ ব্যবহার করা উচিত। শিশুকে বোঝাতে হবে, হাঁচি বা কাশি পেলে হাতের তালুর আড়াল ব্যবহার করা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে যে কোনও জীবাণু হাতের তালুতে লেগে থাকবে এবং অন্য কারও শরীরে সেই হাতের ছোঁয়া লাগলে তার শরীরেও সংক্রমণ ঘটবে। হাতের তালুর পরিবর্তে তাই কনুইয়ের ভাঁজে হাঁচা বা কাশির অভ্যাস রপ্ত করাতে হবে শিশুদের।
4/7শিশু অসুস্থ বোধ করলে কখনই তাকে জোর করে স্কুলে পাঠানোর চেষ্টা করা উচিত নয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সর্দি-কাশি বা অল্প জ্বর থাকলে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন না।
5/7মনে রাখবেন, আপনার বাচ্চার স্পর্শে এলে ক্লাসের অন্য শিশুরাও জীবাণুর দ্বারা সংক্রামিত হবে।
6/7সন্তান সম্ভবা নারীর গর্ভজাত সন্তান করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হবে কি না, তাই নিয়ে এখনও ধন্দ কাটেনি। সাধারণত প্রসূতিরা অনেকেই মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্টে ভোগেন। সাধারণ সর্দি-কাশিরও শিকার হন তাঁরা। এই কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে তাঁদের জন্য বিশেষ কোনও বিধি-নিষেধ নির্দিষ্ট হয়নি। তবে নিজেকে এবং গর্ভজাত সন্তানকে জীবাণুর ছোঁয়া থেকে বাঁচাতে সাধারণ সাবধানতা অবলম্বন করাই যথেষ্ট বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
7/7ভাইরাসের ছোঁয়া এড়াতে মাস্ক ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, সাধারণত করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক তৈরি হওয়ার পরে যে সমস্ত বাজারচলতি সার্জিক্যাল মাস্ক লোকে ব্যবহার করছে, তাতে নিজে ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অন্যকে সংক্রামিত করা থেকে মাস্ক কার্যকরি হলেও আপনার সুস্থ শরীরে জীবাণু সংক্রমণ রোধ করার বিশেষ ক্ষমতা সার্জিক্যাল মাস্কের নেই।