কলকাতার 'প্রবেশ দ্বার'। সেই রবীন্দ্র সেতু বা হাওড়া ব্রিজ কেমন আছে? শীঘ্রই এই সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর জন্য আইআইটি মাদ্রাসকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে জানান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের চেয়ারম্যান।
1/4শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের অধীনে থাকা রবীন্দ্র সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। এর আগে এখানে একটি ছোট সেতু ছিল। ১৮৭৪ সাল থেকে। পরে ১৯৪৫ সালে পুরনো সেতুটির বদলে বর্তমান সেতুটির উদ্বোধন করা হয়। পরে ১৯৬৫ সালের জুন মাসে এই সেতুটির নাম রবীন্দ্র সেতু রাখা হয়েছিল। আনুমানিক হিসেব, এই সেতুর ওপর দিয়ে দৈনিক লক্ষাধিক গাড়ি ও ১০ লাখ পথচারী পার করেন। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৭৫০ মিটার।
2/4দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দেশ স্বাধীনের মতো নানা ঘটনার সাক্ষী থাকা রবীন্দ্র সেতুর মেরামতির কাজ চলছে বিগত কয়েকদিন ধরেই। রাতের বেলায় সেই কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলেই শুরু হতে পারে স্বাস্থ্যপরীক্ষার প্রক্রিয়া। তার আগে অবশ্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করতে হবে বলে জানান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের চেয়ারম্যান রথীন্দ্র রমন।
3/4উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরেই রবীন্দ্র সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করে চলেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য শীর্ষস্তরের সম্মতি মিলেছে। এই আবহে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আইআইটি মাদ্রাসকে দিয়ে এই স্বাস্থ্যপরীক্ষার কাজ করাতে পারে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় খোঁজখবর নেওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মেরামতির কাজ শেষ হলেই স্বাস্থ্যপরীক্ষা শুরু হবে।
4/4এদিকে কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যকার সংযোকারী এই সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার আগে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছু বৈঠকে বসতে হবে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। এই বিষয়ে পুলিশের পরামর্শ নেওয়া হবে বলে জানান বন্দরের চেয়ারম্যান রথীন্দ্র রমন। কারণ আনুমানিক হিসেব, এই সেতুর ওপর দিয়ে দৈনিক লক্ষাধিক গাড়ি ও ১০ লাখ পথচারী পার করেন। সেই আবহে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য সেতু ব্ধ রাখা যাবে কিনা, বা কোন সময় বন্ধ রাখা যাবে, যাতে জনসাধারণকে সমস্যায় না পড়তে হয়... এই সব বিষয়ে পুলিশের মত গ্রহণ করা হবে।