পেটে নেই অন্ন, তবুও পারমাণবিক কর্মসূচি জারি রেখেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনাবাহিনীর 'মন জয়' করতে প্রতিরক্ষা খাতে বিভিন্ন খরচও জারি রেখেছে ইসলাবাদ। তবে এরই মধ্যে শেহবাজ শরিফের সামনে কঠিন শর্ত দিয়ে রেখেছে আইএমএফ। ঋণ পেতে পাকিস্তানকে ত্যাগ করতে হবে পারমাণবিক কর্মসূচি!
1/5প্রায় দেউলিয়া অবস্থায় দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে আইএমএফ-এর দ্বারস্থ হয়েছিল পাকিস্তান। এই আবহে সূচি পার করেও চলেছে দুই পক্ষের আলোচনা। তবে এখনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, আইএমএফ-এর তরফে পাকিস্তানকে জানানো হয়েছে, ঋণ পেতে হলে পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ করতে হবে পাকিস্তানকে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কমাতে হবে অন্তত ১৫ শতাংশ। এছাড়াও আরও চারটি শর্ত রয়েছে আইএমএফ-এর। তবে আপাতত ইসলামাবাদের সবচেয়ে বড় মাথা যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগের শর্তটি। (REUTERS)
2/5এদিকে আইএমএফ জানিয়েছে, ঋণ পেতে হলে চিনা ঋণ এবং 'চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে' বেজিংয়ের বিনিয়োগের অডিট করার অনুমতি দিতে হবে ইসলামাবাদকে। সেই অডিট করবে তৃতীয় কোনও পক্ষ। পাশাপাশি বন্ধু দেশগুলির থেকে দ্বিপাক্ষিক অর্থায়নের বিষয়ে আশ্বাস দিতে হবে পাকিস্তানকে। তাছাড়া দেশের বিরোধীদের থেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার 'প্রতিশ্রুতি' দাবি করেছে আইএমএফ। এদিকে এই সব শর্তের কারণে আইএমএফ-এর থেকে পাকিস্তানের ঋণ পাওয়া আরও অনিশ্চিত হয়ে গেল। এই আবহে আইএমএফ-এর এই সব শর্তে 'বিরক্ত' পাকিস্তান। সেদেশের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার বলেছেন, পাকিস্তান দূরপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র রাখবে কি না, তা নিয়ে কথা বলার অধিকার কারও নেই। (REUTERS)
3/5উল্লেখ্য, আইএমএফ-এর শর্ত নিয়ে ইসলামাবাদের 'অস্বস্তি'র বিষয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্দাজ করা যাচ্ছিল। তবে এর আসল কারণ প্রকাশ্যে আসছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত তা সামনে এসেছে। পাক অর্থমন্ত্রী সাফ করে দিয়েছেন, পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ সংক্রান্ত আইএমএফ-এর শর্ত মানা পাকিস্তানের পক্ষে সম্ভব নয়। (REUTERS)
4/5পাক অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পরপরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও পরমাণু কর্মসূচি এবং দেশের নিরাপত্তার বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে বলে, 'পাকিস্তানের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এ নিয়ে চাপের কোনও কারণ নেই।' এদিকে আইএমএফ-এর অধিকাংশ শর্তই পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। এদিকে পাকিস্তানের 'বন্ধু' হিসেবে পরিচিত চিন সম্প্রতি পাকিস্তানকে ঋণ দিলেও সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিশাহির মতো দেশ অর্থসাহায্য করতে অস্বীকার করেছে। (REUTERS)
5/5উল্লেখ্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি পূরণের জন্য পাকিস্তানের অন্তত ৬ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণের প্রয়োজন। তবে এই অর্থ কোথা থেকে আসবে, তা জানা নেই কারও। অপরদিকে নিজের দেশের জনগণকে অভুক্ত রেখেও নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি জারি রাখবে ইসলামাবাদ। (REUTERS)