আয়কর রিটার্ন ফাইল করার দিনক্ষণ ঘনিয়ে এসেছে। এই আবহে কর ছাড়ের অঙ্ক কষতে ব্যস্ত অনেকেই। কর ছাড় পেতে অনেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে থাকেন। তবে কোন ধারায় কোন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যায়, তা কি আপনার জানা আছে? আবার অনেক খরচের ক্ষেত্রেও কর ছাড় পাওয়া যায়। কোন ধারায় সেই খরচ বাবদ ছাড় পাওয়া যায়? জেনে নিন বিশদে।
1/5ভবিষ্যনিধি, জীবন বিমা, ইএলএসএস, গৃহঋণের মূল পরিমাণ পরিশোধের অর্থ, ইউলিপ, পাঁচ বছরের ট্যাক্স সেভিং ফিক্সড ডিপোজিট, বাড়ি বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের স্ট্যাম্প ডিউটি, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
2/5অ্যানুইটি পেনশন প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৮০ সিসিসি ধারায় কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে মাইনের ১০ শতাংশ অথবা স্বনিযুক্ত হলে আয়ের ২০ শতাংশ কর ছাড় পাওয়া যায় ৮০ সিসিডি (১) ধারায়। অটল পেনশন যোজনা এবং এনপিএস প্রকল্পে বিনিয়োগে ৮০ সিসিডি (১বি) ধারায় কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। এদিকে চাকরিজীবীরা ৮০ সিসিডি (২) ধারাতেও এনপিএস প্রকল্পে বিনিয়োগের ওপর কর ছাড়ের দাবি জানাতে পারে।
3/5ব্যাঙ্ক, কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে আমানতের পাওয়া সুদ বাবদ ১০ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া যায় আয়কর আইনের ৮০ টিটিএ ধারায়। এদিকে অফিস থেকে হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স না পেলে বাড়ি ভাড়া বাবদ কর ছাড় পাওয়া যায় ৮০ জিজি ধারায়। তবে এই ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। নিজের বা নিজের স্বামী-স্ত্রীর নামে ফ্ল্যাট বা সম্পত্তি থাকলে এই ছাড় পাওয়া যাবে না।
4/5উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণের ওপর ৮০ই ধারায় কর ছাড় পাওয়া যায়। ঋণ পরিশোধের বছর থেকে আগামী ৮ বছর পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। এই ছাড়ের উপর কোনও ঊর্ধসীমা নেই। নিজের, সন্তান, স্ত্রী বা স্বামীর নামে নেওয়া চিকিৎসা বিমার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায় ৮০ডি ধারায়। প্রিমিয়াম বাবদ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় মেলে এতে। এ ছাড়াও ৬০ বছরের কম বয়স্ক বাবা-মার জন্য যদি চিকিৎসা বিমা থেকে থাকে, তাহলে আরও ২৫ হাজার টাকা ছাড় মিলবে এই ধারায়। ষাটোর্ধ্ব বাবা-মার চিকিৎসা বিমার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা।
5/5বিশেষ ভাবে সক্ষম আত্মীয়ের দেখাশোনা করলে ৮০ ডিডি ধারায় খরচ বাবদ কর ছাড় মেলে। করদাতার বয়স ৬০ বছরের কম হলেও চিকিৎসার খরচ বাবদ ৪০ হাজার টাকা কর ছাড় মেলে ৮০ ডিডিবি ধারায়। এদিকে ষাটোর্ধ্ব করদাতারা এই ধারায় ১ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের দাবি জানাতে পারেন। প্রবীণ করদাতারা যদি ঋণ পরিশোধ করেন, তাহলে তার সুদ বাবদ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় মিলবে ৮০ টিটিবি ধারায়।