২০২৩ সালের বাজেট পেশের আগেই আয়কর সংক্রান্ত বড় উপহার দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি আয়কর রিটার্ন ফাইল নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন এনেছে সরকার। এখন থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে না। বাজেটের আগেই একটি টুইটে এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
1/5অর্থ মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে এখন থেকে ৭৫ বছরের বেশি বয়সি নাগরিকদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে না। যেসব প্রবীণ নাগরিকরা শুধুমাত্র পেনশন বা ব্যাঙ্ক থেকে সুদ পেয়ে থাকেন, শুধুমাত্র তাঁদেরকেই আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে না। অর্থ মন্ত্রণালয় তরফে টুইট করে এ তথ্য জানানো হয় গত সপ্তাহে। এর ফলে কয়েক লক্ষ প্রবীণ করদাতা লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
2/5সরকার জানিয়েছে যে আয়কর আইন, ১৯৬১-র নতুন ধারা ১৯৪পি-র অধীনে প্রবীণ নাগরিকরা এই সুবিধা পাবেন। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে, প্রবীণ নাগরিকদের আয়কর রিটার্ন ফাইল সংক্রান্ত বদল নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, বিধি ৩১, বিধি ৩১এ, ফর্ম ১৬ এবং ২৪কিউ-তেও সংশোধনী আনা হয়েছে।
3/5উল্লেখ্য, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আয়কর স্ল্যাবের হারগুলি তাদের বাড়ি ভাড়া, বেতন এবং অতিরিক্ত আয়ের উত্স সহ নির্দিষ্ট ভাতার উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়। বেশিরভাগ প্রবীণ নাগরিকদেরই স্থির কোনও আয়ের উৎস নেই। সাধারণ করদাতাদের থেকে তাই কম হারে আয়কর দিতে হয় প্রবীণ নাগরিকরদের।
4/5প্রবীণ নাগরিকরা (৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সি) বছরে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করলে তাঁদের কোনও কর দিতে হয় না। কোনও প্রবীণ নাগরিক যদি বছরে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করেন, তাহলে ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয় তাঁকে। এদিকে কোনও প্রবীণ নাগরিকের বাৎসরিক উপার্জন যদি ৫ থেকে ১০ লাখের মধ্যে হয় তাহলে তাঁকে ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। অঙ্কটা ১০ লাখের ওপরে হলে করের হার ৩০ শতাংশ হয়। এদিকে প্রযোজ্য ট্যাক্স স্ল্যাবে ৪% অতিরিক্ত শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেস বসে। এদিকে কারও বাৎসরিক মোট উপার্জন ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি হয়, তাহলে এই সারচার্জের পরিমাণ ১০ শতাংশ, আয় এক কোটির ওপরে হলে তা ১৫ শতাংশ।
5/5অশীতিপর করদাতাদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত কর মুকুব করা হয়। এদিকে ৮০ বছরের বেশি বয়সি কেই যদি বছরে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় করেন তাহলে তাঁকে ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। বাৎসরিক আয় ১০ লাখের ওপরে হলে করের হার ৩০ শতাংশ হয়। এছাড়া আয়কর আইনের ৮০ডিডিবি ধারা অনুযায়ী, প্রবীণ নাগরিকরা চিকিৎসা বিমা সংক্রান্ত ব্যয় হিসাবে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রিমিয়াম প্রদানের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা পেয়ে থাকেন।