দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ান ডে সিরিজও ২-১ ব্যবধানে জিতল ভারত। শেষ ম্যাচে মাত্র ৯৯ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দেন টিম ইন্ডিয়ার বোলাররা। ১০০ রানের টার্গেট সহজেই পার করে ফেলেন শুভমন গিল-শ্রেয়স আইয়াররা।
1/5ভারতের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে তেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে প্রথম ম্যাচ জিতলেও, তাঁর অনুপস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা পরপর দুই ম্যাচ হেরে বসে। যার নিট ফল, সিরিজ হেরে বসে থাকে তারা। নড়বড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা টিম আরও নড়বড়ে হয়ে পড়েছিল। তার উপর মঙ্গলবার সিরিজের শেষ ম্যাচে তেম্বা বাভুমা ছাড়াও খেলতে পারেননি কাগিসো রাবাডা এবং কেশব মহারাজ। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও দুর্বল হয়ে যায়। এই দলকে হারাতে ভারতকে কোনও কষ্টই করতে হয়নি।
2/5ভারতের দ্বিতীয় দল যে ভাবে দাপট দেখাচ্ছে, সেটা নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি সহ ভারতের তাবড় তাবড় কোনও তারকা প্লেয়ার দলে ছিলেন না। একেবারে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের হাত ধরে প্রমাণিত হল, ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি কতটা!
3/5শুভমন গিল, শ্রেয়স আইয়ার, সঞ্জু স্যামসনরা প্রতি মুহূর্তে নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া। তারা মূল দলের একাদশে জায়গা করে নিতে মরিয়া। যে কারণে বাড়তি তাগিদ রয়েছে তাঁদের মধ্যে। যা ভারতের বড় প্রাপ্তি। শুভমন, সঞ্জুদের ধারাবাহিকতা কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটকে নিশ্চিন্ত করল।
4/5কুলদীপ যাদবকে পাওয়া গিয়েছে চেনা ছন্দে। শেষ ম্যাচে ৪.১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১টি মেডেনসহ ১৮ রান খরচ করে চারটি উইকেট নেন কুলদীপ। অল্পের জন্য মিস করেন হ্যাটট্রিকের সুযোগ। সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচের সেরাও হন কুলদীপ।
5/5ভারতের দ্বিতীয় দলের বোলাররাও ভরসা জোগাচ্ছেন। একা কুলদীপ নন, মহম্মদ সিরাজ, ওয়াশিংটন সুন্দর, শাহবাজ আহমেদরাও দুরন্ত ছন্দে বোলিং করেন। আবেশ খান উইকেট না পেলেও পাঁচ ওভারে মাত্র আট রান দেন। সব মিলিয়ে ভারতের দ্বিতীয় দলের বোলারদের পারফরম্যান্সও নজর কাড়া। শাহবাজ আহমেদের উত্থানও কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বড় ভরসার জায়গা।