নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের উপস্থিতিতে মুম্বইয়ের নৌ ডকইয়ার্ডে কালভারী শ্রেণির পঞ্চম সাবমেরিন আইএনএস বাগীরকে কমিশন করল নৌবাহিনী। নতুন কমিশনড সাবমেরিনটি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার সামুদ্রে যাত্রা করেছিল। পরীক্ষামূলকভাবেই সমুদ্রে সেই যাত্রা করেছিল আইএনএস বাগীর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, অনেক পরীক্ষার পর সাবমেরিনটিকে কমিশন করা হয়েছে।
1/5ফরাসি সংস্থা ডিসিএনএস-এর সঙ্গে নকশা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা চুক্তির ভিত্তিতে ৬টি কালভারী শ্রেণির ডুবোজাহাজ বানানো শুরু করেছিল ভারত। প্রোজেক্ট ৭৫ নামক প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হচ্ছে এই সাবমেরিনগুলি। ভারতের মাজগাওঁ ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের তরফে ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে কালভারী ক্লাসের এই সাবমেরিনটি তৈরি করা হয়েছে।
2/5২০২০ সালের নভেম্বরেই সম্পন্ন হয়েছিল আইএনএস বাগীর নির্মাণের কাজ। এরপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এই সাবমেরিনের। এই সাবমেরিনটি স্থলে হামলা চালাতে সক্ষম। অন্য সাবমেরিনের সঙ্গেও যুদ্ধে লিপ্ত হতে সক্ষম এটি। তাছাড়া গুপ্তচরবৃত্তি করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী হবে এই সাবমেরিন।
3/5প্রসঙ্গত, প্রয়াত মনোহর পর্রীকর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকাকালীন প্রথম নৌবাহিনীর জন্য নতুন ডুবোজাহাজ কেনার প্রস্তাব। তবে তিনি প্রস্তাব করেছিলেন যাতে ভারতেই কালভারী ক্লাসের সাবমেরিন তৈরি করা হয়। নৌবাহিনীর হাতে এই ক্লসের প্রথম সাবমেরিনটি তুলে দেওয়া হয়েছিল সেই ২০১৫ সালে। ডিসিএনএস-এর সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে ৬টি কালভারী ক্লাস সাবমেরিন তৈরির করার কথা রয়েছে মাজগাওঁ ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের।
4/5গত ২৪ মাসে আইএনএস বাগীরসহ মোট তিনটি সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীতে। এদিকে আইএনএস বাগীর নামক আরও একটি সবমেরিন ছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে। ১৯৭৩ সালের নভেম্বর মাসে সেই সাবমেরিনটা কমিশন করা হয়েছিল। ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে আইএনএস বাগীরকে অবসরে পাঠানো হয়েছিল। এদিকে নতুন আইএনএস বাগীর নির্মাণে রেকর্ড গড়েছে মাজগাওঁ শিপইয়ার্ড। কালভারী ক্লাসের সাবমেরিনগুলির মধ্যে এই সাবমেরিনটি তৈরি করতে সব থেকে কম সময় লেগেছে।
5/5আদতে বাগীর নামটি ভারত মহাসাগরের একটি মারাত্মক গভীর সমুদ্রের শিকারি স্যান্ড ফিশ থেকে নেওয়া হয়েছে। নৌসেনা প্রধান এদিন বলেন, এটা বাহিনীর ঐতিহ্য যে আগের কোনও যুদ্ধ জাহাজ বা সাবমেরিনই 'অবসর' নেয় না। তারা ফিরে আসে। সেই মতোই নতুন আইএনএস বাগীরের আজ পুনর্জন্ম হল। পুরোনো আইএনএস বাগীর তিন দশক ভারতীয় বাহিনীর হয়ে কর্তব্য পালন করেছে।