ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর। ট্রেনে ভ্রমণের সময় প্রায় সব যাত্রী জানলার ধারের আসন চান। এর জন্য অনেকেই নির্দিষ্ট টিকিট বুক করার সময় ‘উইন্ডো সিট’ বিকল্প বেছে নেন। এই আবহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন। ট্রেনে জানালার ধারের আসন কারা পেয়ে থাকেন? এবং এর জন্য রেলওয়ের কী কী নিয়ম রয়েছে?
1/4স্লিপার এবং এসি কোচের টিকিটে আসনটি জানলার ধারের কি না, সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য থাকে না। তবে স্লিপারের ক্ষেত্রে লোয়ার বার্থের যাত্রী জানলার ধারে বসার ‘অধিকার’ পান। জানালার ধারের আসন বেছে নেওয়ার বিকল্প থাকে চেয়ার কারের টিকিট কাটার সময়। স্লিপার বা এসি কোচে জানলার ধারে বসতে গেলে আপনাকে ‘লোয়ার বার্থ’ বেছে নিতে হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ভারতীয় রেল)
2/4নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেনের স্লিপার ক্লাসে নিচের সিটে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরও নিচের আসন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয় রেল। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, নিচের বার্থের আসন পাওয়া ব্যক্তিরই জানালার ধারে বসতে পারেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ফেসবুক East Central Railway)
3/4ভারতীয় রেলের তথ্য অনুসারে, নিচের বার্থের কোটা শুধুমাত্র ষাটোর্ধ্ব পুরুষ এবং ৪৫ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের জন্য নির্ধারিত। এদিকে চেয়ার কারে জানলার ধারের আসন যেকেউ পেতে পারেন। আপনার ভাগ্য সহায় হলেই আপনি জানলার ধারের আসন পেয়ে যেতে পারেন। এই ক্ষেত্রে ষাঠোর্ধ্ব পুরুষ, বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কোনও বিষয় নেই। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Southern Railways)
4/4এদিকে স্লিপার ক্লাসে নিচের আসনে বসার অধিকার থাকে কেবল দিনের বেলায়। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত যাত্রী তাঁর আসনে ঘুমাতে পারেন। এই সময়কালে রেলের টিকিট পরীক্ষকও যাত্রীকে বিরক্ত করতে পারেন না। এদিকে সকাল ছ’টার পর নিচের বার্থে ঘুমিয়েও থাকা যায় না। তবে সহযাত্রীদের উপর নির্ভর করে বিষয়টি। তবে সহযাত্রী সকাল ছ’টার পর নিচের আসনে বসতে চাইলে, লোয়ার বার্থের যাত্রীকে উঠে বসতে হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ভারতীয় রেল)