ভারতীয় নৌসেনা রনবতম সংযোজন আইএনএস মরমুগাওঁয়ের বড় সাফল্য। আজ মাঝসাগরে এই রণতরী থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণের পরীক্ষা চলছিল। সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। কয়েকদিন আগেই এই রণতরী থেকেই ব্রহ্মোস মিসাইলের উৎক্ষেপণেরও পরীক্ষা চালানো হয়েছিল।
1/5সম্পূর্ণ ভাবে ভারতে তৈরি গাইডেড মিসাইল উৎক্ষেপণ করে সুপারসনিক গতিতে ছোটা একটি টার্গেটকে ধ্বংস করে নয়া কীর্তি স্থাপন করেছে আইএনএস মরমুগাওঁ। এই পরীক্ষার মাধ্যমে নৌসেনা আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য পূরণে আরও এক ধাপ নিল বলে জানানো হয়েছে বাহিনীর তরফে। এদিকে নয়া রণতরী যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে নৌসেনা। (PTI)
2/5উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল আইএনএস মরমুগাওঁ। এর আগে গত ১৪ মে এই রণতরী থেকেই সফল উৎক্ষেপণ করা হল ব্রহ্মোস মিসাইলের। মাঝ সাগর থেকে উড়ে গিয়ে সেই মিসাইল সফল ভাবে লক্ষ্যভেদ করেছিল বলে জানানো হয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে। আর এবার গাইডেড মিসাইলের মাধ্যমে এই রণতরী ধ্বংস করলে সুপারসনিক টার্গেটকে। (PTI)
3/5প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল আইএনএস মরমুগাওঁ। বিশাখাপত্তনম ক্লাসের চারটি রণতরীর মধ্যে এটি দ্বিতীয়। এটি মজগাওঁ ডকে তৈরি করা হয়েছিল। নৌসেনার 'ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো' এই রণতরীর নকশা তৈরি করেছিল। এই রণতরী চলে চারটি শক্তিশালী গ্যাস টার্বাইনের সাহায্যে। ঘণ্টায় ৩০ নট গতি ছুঁতে পারে এই রণতরী। (PTI)
4/5গোয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের নামে নামকরণ করা হয়েছে আইএনএস মরমুগাওঁ রণতরীর। এই রণতরী ভূমি থেকে ভূমি এবং ভূমি থেকে শূন্যে মিসাইল উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম। তাছাড়া আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থায় সজ্জিত এই আইএনএস মরমুগাওঁ রণতরী। এই রণতরীটি ১৬৩ মিটার লম্বা ১৭ মিটার পর্যন্ত চওড়া। এর ওজন ৭৪০০ টন। (PTI)
5/5আইএনএস মরমুগাওঁ বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক রণতরীর মধ্যে অন্যতম। প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র বাহক এই রণতরী। অত্যাধুনিক অস্ত্র ছাড়াও এই রণতরীতে নতুন প্রযুক্তির ব়্যাডার ব্যবস্থা রয়েছে। ভারতে তৈরি টর্পেডো লঞ্চার রয়েছে এতে। জৈবিক, রাসায়নিকের পাশাপাশি পারমাণবিক যুদ্ধ লড়তেও সক্ষম এই রণতরী। (PTI)