একটা বা দুটো নয়, মোক্ষম সময় একাধিক ভুল। একাধিক দুর্বলতা। যা আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হারের কারণ হয়ে উঠল। ২৭ রানে জিতে চতুর্থবারের জন্য আইপিএল ট্রফি নিয়ে গেল চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে)। কোন কোন কারণে কেকেআর হারল, দেখে নিন একনজরে -
1/6ফ্যাফ ডু'প্লেসিসের স্টাম্পিং মিস দীনেশ কার্তিকের : তখন চার বলে দু'রানে ছিলেন চেন্নাইয়ের তারকা। সহজ স্টাম্পিং ফস্কান কার্তিক। যে ভুলের বড়সড় খেসারত দিতে হয় কেকেআরকে। আরও ৮৪ রান যোগ করেন। শুধু তাই নয়, ১৪০-এর বেশি স্ট্রাইক রেট রেখে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা। তাঁর জন্য রবিন উত্থাপ্পা এবং মইন আলি হাত খুলে খেলার সুযোগ পান। (ছবি সৌজন্য আইপিএল)
2/6শর্ট বল কোথায় গেল : রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের যে শর্ট বলে সমস্যা আছে, তা স্পষ্ট গিয়েছে। তাও বাকি টুর্নামেন্টে যেমন বিভিন্ন দল চেন্নাই ব্যাটসম্যানকে তেমনভাবে শর্ট বল করেনি, তেমনভাবেই ফাইনালে রুতুরাজকে শর্ট বল করল না কেকেআর। তাঁর বুকের ব্যাচের কাছেও বল তুললেন না নাইটরা। অথচ শুরুতেই লকি ফার্গুসনকে দিয়ে শর্ট বল করে রুতুরাজকে বিব্রত করে দেওয়ার সুযোগ ছিল। উলটে নিজের স্বস্তির জায়গায় বল পেয়ে দারুণ শুরু করেন রুতুরাজ। (ছবি সৌজন্য পিটিআই)
3/6গুরুত্বপূর্ণ তিন ওভারে বাজে বোলিং : এমনিতেই বড় স্কোরের পথে এগোচ্ছিল চেন্নাই। তাও মাঝে কিছুটা রানের গতিতে লাগাম পরিয়ে দিতে পেরেছিল কেকেআর। কিন্তু ১৭, ১৮ এবং ১৯ ওভারে পুরোপুরি রানের পাহাড়ে উঠে গেল সিএসকে। সেই তিন ওভারে ওঠে ৪৬ রান। যা চেন্নাইয়ের রানটা আরও বাড়িয়ে দেয়। (ছবি সৌজন্য আইপিএল)
4/6সার্বিকভাবে খারাপ বোলিং : এতদিন বোলিংই জিতিয়ে আসছিল কেকেআরকে। কিন্তু শারজার ঘাঁটি ছেড়ে দুবাইয়ে আসতে কেকেআর বোলিংকে ছন্নছাড়া লাগল। একমাত্র সুনীল নারিন কম রান দেন - ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে দু'উইকেট দেন। আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে কেকেআরের সেরা ফাস্ট বোলার লকি ফার্গুসন লেংথ ঠিক করতে পারছিলেন না। ভিন্ন পিচে লেংথ ঠিক করতে পারেননি প্রথম থেকেই। চার ওভারে তিনি দেন ৫৬ রান। বেশি রান দেন শাকিব আল হাসান এবং বরুণ চক্রবর্তী। রহস্য স্পিনার বরুণ আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে সবথেকে বেশি রান দেন (চার ওভারে ৩৮ রান)। (ছবি সৌজন্য আইপিএল)
5/6শুভমন গিলের ইনিংস : অর্ধশতরান করেছেন অবশ্যই। কিন্তু ১৯৩ রান তাড়া করতে গিয়ে যে ভঙ্গিমায় খেলেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। চার মেরে ইনিংস শুরু করেছিলেন। কিন্তু তারপর কার্যত ১০০ স্ট্রাইক রেটের কাছে ছিলেন। ফলে অন্যদিকে চাপ বাড়ছিল ভেঙ্কটেশ আইয়ারের উপর। আর আইয়ার আউট হতেই গিলের উপর এসে পড়ে। আচমকাই অনুভব করেন, মেরে খেলতে হবে তাঁকে। তার জেরে আউট হয়ে যান। (ছবি সৌজন্য এএনআই)
6/6'কেকেআর ধস' : সেই এক রোগ। কিন্তু খুঁজে পাওয়া গেল না কোনও ওষুধ। ১০.৪ ওভারে ৯১ রানে প্রথম উইকেট পড়েছিল। তারপর শুরু হল 'কেকেআর ধস'। একটা সময় সেই স্কোর দাঁড়াল ১৬.৩ ওভারে আট উইকেটে ১২৫ রান। অর্থাৎ ২৯ বলে ৩৪ রানে সাত উইকেট হারায় কেকেআর। সেই ধসের পর জয় কখনওই সম্ভব ছিল না। প্রতিদিন তো দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচের মতো কোনওক্রমে জেতা যাবে না। (ছবি সৌজন্য আইপিএল)