৯ ম্যাচের মধ্যে ৮টিতেই জিতেছিল গুডরাট টাইটানস। মসৃণ ভাবে গড়াচ্ছিল তাদের বিজয় রথের চাকা। মাঝে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে একবার ঝাঁকুনি খেতে হয়েছিল। ব্যাস ওই টুকুই। তবে হঠাৎ কী এমন ঘটল যে, পরপর ২ ম্যাচ হেরে বসে থাকল ফার্স্টবয়রা! জেনে নিন,টাইটানসের হঠাৎ-ই পা ফস্কানোর আসল কারণগুলো:
1/5টানা জয়ের ধারা ধরে রাখাটা বেশ কঠিন কাজ। তবে গুজরাট টাইটানস কিন্তু বেশ ভালো ছন্দে নিজেদের রথ এগিয়ে নিয়ে চলেছিল। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচে তারা যথাক্রমে পঞ্জাব কিংস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হেরে বসে রয়েছে তারা। এর একটি বড় কারণ হল দলের আত্মতুষ্টি। জেতাটা অভ্যেসে পরিণত হয়ে গেলে আত্মতুষ্টি চলে আসে টিমের মধ্যে। যেটা হয়েছে টাইটানসের সঙ্গে। যার নিট ফল, পরপর দুই ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়লেন হার্দিকরা। ছবি: পিটিআই
2/5দল প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলায় দলের মধ্যে গা ছাড়া একটি ভাবও দেখা গিয়েছে। যে রকম মরিয়া হয়ে শুরুটা করেছিল টাইটানস। বা আগের ম্যাচগুলো জিতেছিল, সেটা হঠাৎ করেই উধাও। বিশেষ করে ৮ নম্বর ম্যাচ জিতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করার পর এমনটা ঘটেছে গুজরাটের সঙ্গে। ছবি: পিটিআই
3/5ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হচ্ছে। ধারাবাহিক ভাবে পারফরম্যান্স করতে পারছে না। মুম্বই ম্য়াচে ওপেনিং জুটি ১০৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পরেও কিন্তু হারতে হয়েছে গুজরাটকে। অর্থাৎ চালকের আসনে থাকার পরেও ৫ রানে হেরেছে তারা। কারণ দলের বাকি ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন। ছবি: পিটিআই
4/5দলের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব রয়েছে। টাইটানস একেবারেই ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছে না। ব্যাটিং কোনও দিন ভালো করে দিল তো, বোলিং ঝুলিয়ে দিল, আবার উল্টোটাও হচ্ছে। মিসফিল্ডও হচ্ছে বহু। ছবি: পিটিআই
5/5বোলাররাও যে আহামরি ছন্দে রয়েছে, তাও নয়। তবে ব্যাটিংয়ের তুলনায় কিছুটা ভালো করছে টাইটানসের বোলিং বিভাগ। তবে যে ভাবে এখন ম্যাচ হারছে টাইটানস, তাতে প্লে-অফে কিন্তু কপালে দুঃখ আছে হার্দিকের টিমের। প্লে-অফের আগে যাবতীয় ক্লান্তি না কাটিয়ে উঠতে পারলে সাফল্য পাওয়া কঠিন হবে। তবে এই হার থেকেই হয়তো শিক্ষা নিয়ে এরপর ফের ঘুরে দাঁড়াবে গুজরাট। ছবি: পিটিআই