JEE advance topper 2024: সোশ্যাল মিডিয়া সময় নষ্ট…পরিবারের সঙ্গে যোগ রাখতে হবে- বলছেন JEE অ্যাডভান্স টপার বেদ লাহোটি

Updated: 09 Jun 2024, 03:59 PM IST Sritama Mitra

২ টি প্রশ্নে তাঁর উত্তর কেন 'ভুল' মার্ক করা ... more

1/5

ছোট বেলায় স্কুলে কোনও বিষয়ে কম নম্বর পেলে দাদুকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে চলে যেতেন ছোট্ট বেদ। লক্ষ্য ছিল, দাদুর সঙ্গে গিয়ে তিনি শিক্ষকের কাছে জানতে চাইবেন, কেন পেলেন কম নম্বর? এই ঘটনার কথা নিজেই জানিয়েছেন জেইই অ্যাডভান্সের টপার ইন্দোর নিবাসী বেদ লাহোটি। সদ্য যিনি জেইই অ্যাডভান্সে প্রথম স্থান নিয়ে ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। নম্বর প্রাপ্তি নিয়ে বেদ লাহোটি আজও একই মনোভাব ধরে রাখেন। পরীক্ষায় দুটি প্রশ্নে তাঁর লেখা উত্তরকে কেন ‘ভুল’ বলে মার্ক করা হয়েছে, সেই প্রশ্ন সদ্য তিনি আইআইটিকে করেছেন।

2/5বেদের পরিবারে তাঁর মাতৃকূলের তরফে দাদু আরসি সোমানি একজন অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। মা জয়া লাহোটি গৃহবধূ, বাবা যোগেশ লাহোটি কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার। এই পরিবার থেকে উঠে আসে বেদ বলছেন, চিরকালই তিনি পরিশ্রমের ওপরেই জোর দিয়ে গিয়েছেন। বেদ লোহোটি বলছেন, ‘কোনওটিই অসম্ভব নয়। যদি বদ্ধপরিকর থাকেন, তাহলে সব সম্ভব।’

3/5একইসঙ্গে বেদ বলছেন, ‘জীবনে একটা লক্ষ্য থাকা দরকার। আর সেই লক্ষ্য বড় হওয়া উচিত। তারপর পরিশ্রমটা ওই এতই পর্যায়ে করতে হবে। নিজের পরিশ্রমে ভরসা রাখতে হবে। যদি লক্ষ্য অর্জনের জন্য় পরিশ্রম করেন, তাহলে সাফল্য পাবেনই। শিখতে গেলে যথা সম্ভব প্র্যাকটিস দরকার।’ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেদ বলছেন, ‘ পড়াশুনার সময় ঘড়ি দেখিনি। আমি গুণগত অধ্যয়নের দিকে বেশি মনোযোগ দিতাম। আমি নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রেখেছিলাম কারণ এটি সময় নষ্ট করে। আমি শুধু বলতে চাই যে পরীক্ষার্থীদের উচিত তাঁদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং তাঁদের শিক্ষকদের সাহায্য নেওয়া।’

4/5উল্লেখ্য, জেইই অ্যাডভান্সে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ৩৬০ এর মধ্যে ৩৫৫ পেয়েছেন বেদ। দশম শ্রেণিতে পেয়েছিলেন ৯৮.৬ শতাংশ. দ্বাদশে ৯৭.৬ শতাংশ নম্বর। বেদ এখনও ঠিক করেননি, কোন প্রতিষ্ঠানের কোন বিষয় নিয়ে তিনি পড়াশুনো করবেন। তবে বেদ লাহোটির প্রিয় বিষয় হল অঙ্ক। তিনি বলছেন, শিক্ষকদের পরামর্শ শুনে তিনি নিজের পড়াশুনো করতেন। বাড়তি পরিশ্রম যাতে এড়ানো যায়, তার চেষ্টা করতেন বেদ।

5/5বেদ বলছেন, পড়াশোনার কোনও নির্দিষ্ট সময় তাঁর ছিল না জেইই অ্যাডভান্সের প্রস্তুতিতে। তিনি অঙ্কের প্রশ্ন সমাধান করতে পছন্দ করেন, আর বেশি সময় দিতেন পদার্থবিদ্যায়। ৮ ঘণ্টার কম ঘুম তাঁর বাঁধা ধরা। এর কম ঘুম তিনি ঘুমোতেন না। এছাড়াও বই পড়তে ভালোবাসেন বেদ। দেখতে পছন্দ করেন না টিভি। তাঁর কাছে তাঁর মামার বাড়ির দাুই আসল উৎসাহ। পড়াশোনার এই সফরে তাঁর মা তাঁকে উৎসাহ যুগিয়েছেন বলেও জানান বেদ।

পরবর্তী ফটো গ্যালারি