India vs England, T20 World Cup 2024 Semi-Final: পেস ও সুইং বাড়তি গুরুত্ব পায় যে দলের কাছে, পরিবেশ-পরিস্থিতির নিরিখে তাদের এমন ভুল করা স্বাভাবিক।
1/6 ব্যাটার অথবা বোলার, পিচে কোনও একজনদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকলে টস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে পরিবেশ পরিস্থিতি যদি বোলারদের অনুকূল হয়ে থাকে, তবে টসই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে। সেই নিরিখে গায়ানায় ভারতের বিরুদ্ধে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মহাগুরুত্বপূর্ণ টস জেতেন ইংল্যান্ড দলনায়ক জোস বাটলার। যদিও সেই সুযোগ তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। বড় মঞ্চে টস জিতে ইংল্যান্ড দলনায়ক কার্যত জুয়া খেলেন। যার মাশুল দিতে হয় তাঁর দলকে। ছবি- বিসিসিআই।
2/6 গায়ানায় ম্যাচের কয়েকদিন আগে থেকেই বৃষ্টি হয়। ম্যাচ শুরুর কয়েকঘণ্টা আগেও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয় গায়ানায়। যার জেরে ম্যাচ নির্ধারিত সময়ে শুরুই করা যায়নি। বৃষ্টির জন্য দীর্ঘ সময় পিচ ঢাকা দেওয়া থাকলে তাতে স্যাঁতসেঁতেভাব চলে আসে, যা পেসারদের জন্য অনুকূল। তার উপর আকাশ মাঝে মাঝেই মেঘে ঢেকে যাচ্ছিল। মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া ও ক্রমাগত বৃষ্টিতে সকাল সকাল ম্যাচ। ইংল্যান্ডের মতো ক্রিকেট দলের, যাদের কাছে পেস ও সুইং বাড়তি গুরুত্ব পায়, এমন পরিস্থিতিতে শুরুতে বল করতে চাওয়া এক্কেবারে স্বাভাবিক বিষয়। ছবি- এএফপি।
3/6 তবে জোস বাটলার সম্ভবত এক্ষেত্রে যথাযথ পিচ পড়তে পারেননি। খালি চোখে পিচের ফাটল স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। তেমন একটা শক্ত পিচও ছিল না যেখানে বল বাড়তি বাউন্স আদায় করে নিতে পারে। তাছাড়া ইংল্যান্ড দলনায়ক গায়ানার আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাকে গুরুত্ব দেননি। বৃষ্টির পরেই যে খটখটে রোদ উঠতে পারে, সেটা সম্ভবত বাটলারের ধারণার বাইরে ছিল। তাই বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া দেখে শুরুতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন। পরিবেশ-পরিস্থিতির নিরিখে এটিকে জুয়া খেলার সঙ্গে তুলনা করাই যায়। ছবি- এএফপি।
4/6 বাইশগজে যে স্পিনারদের জন্য সাহায্য রয়েছে, তার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল পিচ রিপোর্টেই। তার উপর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা টস হারার পরে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তিনি টস জিতলে শুরুতে ব্যাট করে নিতে চাইতেন। অর্থাৎ, টস হারা সত্ত্বেও তিনি যা চেয়েছিলেন সেটাই পেয়ে যান। রোহিত টসের পরে এও ধারণা পোষণ করেন যে, খেলা যত গড়াবে, এই পিচ ততই গতি হারাবে। অর্থাৎ, স্লো বোলারদের বাড়তি সুবিধা দিতে শুরু করবে। শেষমেশ রোহিতের ধারণাই সত্যি প্রমাণিত হয়। রোদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পিচ ক্রমশ স্লো হতে থাকে। যেখানে ভারতের তিন স্পিনার অক্ষর-কুলদীপ-জাদেজা বলকে দিয়ে কথা বলান। ছবি- এএফপি।
5/6 বাটলার নিজের ভুল থেকেও শিক্ষা নেননি। লিয়াম লিভিংস্টোনের মতো সাধারণ মানের স্পিনারের বল খেলতেও ভারতীয় ব্যাটাররা অসুবিধায় পড়ছেন দেখেও মইন আলিকে দিয়ে বল করাননি বাটলার। ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন ভারতীয় ব্যাটারদের বিব্রত করেন। তবে চার পেসার রিস টপলি, জোফ্রা আর্চার, স্যাম কারান ও ক্রিস জর্ডনের বলে তুলনায় স্বচ্ছন্দে রান তোলে ভারত এবং শেষমেশ লড়াই করার রসদ সংগ্রহ করে নেয়। ছবি- এপি।
6/6 ম্যাচের প্রথম ইনিংসে আউটফিল্ডে ভিজেভাব ছিল। তাই বল তুলনায় আদ্র থাকায় স্কিড করে ব্যাটে আসছিল ঠিকঠাক। দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠ পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। তাই ভারতীয় স্পিনারদের জন্য পরিস্থিতি পুরোপুরি অনুকূল হয়ে যায়। সব দিক দেখে শুনে বলতেই হয় যে, ইংল্যান্ড দলনায়ক জোস বাটলার টস জিতে জুয়া খেলতে গিয়েই সেমিফাইনাল ম্যাচ তথা বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট হাতছাড়া করে বসেন। ছবি- এএফপি।