পরিবেশবিদ বিমলেন্দু ঝা বলছেন, যোশীমঠের বসে যাওয়ার বড় কারণ ভূগর্ভস্থ জলধারক শিলাস্তরে ফুটো ধরিয়ে দেওয়া। সুড়ঙ্গ খননকারী মেশিন দিয়ে এই ফুটো করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। পরিবেশবিদের দাবি, সব ধরনের মাটিতে খনন সম্ভব নয়। সব ধরনের মাটিতে বিস্ফোরণ ঘটানোও সঠিক নয়।
1/7দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠে মাটি বসে যাচ্ছে। এই আচমকা ভূমি অবনমনের কারণ হিসাবে বারাবর উঠে আসছে, এনটিপিসির জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে কিছু পদক্ষেপ। ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে যোশীমঠের মাটি, তাই উপত্যকার ৭২৩ টি বাড়িতে ফাটল। অনিশ্চিত ভবিষ্যতে কয়েকশো পরিবার। পরিবেশবিদ বিমলেন্দু ঝা বলছেন, এনটিপিসির ইঞ্জিনিয়াররা জলবহনকারী ভূগর্ভস্থ সিক্ত শিলাস্তরে ফুটো ধরিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের প্রকল্পের কাজের জেরে। (ANI Photo) (Ayush Sharma)
2/7আফসোসের সুর নিয়ে বিমলেন্দু ঝা বলছেন, এনটিপিসির ইঞ্জিনিয়াররা যা করেছেন তাতে গোটা শহর বসে যাচ্ছে, নেই মেরামতির সুযোগ। তিনি বলছেন, এই পরিস্থিতি থেকে ফিরে যাওয়ার রাস্তাও নেই। এদিকে, এনটিপিসির দাবি, যে সুড়ঙ্গের খননকে যোশীমঠ বসে যাওয়ার কারণ হিসাবে দাবি করা হচ্ছে, সেই সুড়ঙ্গ যোশীমঠের ভিতর দিয়ে যায়নি। প্রতীকী ছবি। (Photo by AFP) (Ayush Sharma)
3/7পরিবেশবিদ বিমলেন্দু ঝা বলছেন, যোশীমঠের বসে যাওয়ার বড় কারণ ভূগর্ভস্থ জলধারক শিলাস্তরে ফুটো ধরিয়ে দেওয়া। সুড়ঙ্গ খননকারী মেশিন দিয়ে এই ফুটো করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। পরিবেশবিদের দাবি, সব ধরনের মাটিতে খনন সম্ভব নয়। সব ধরনের মাটিতে বিস্ফোরণ ঘটানোও সঠিক নয়। তিনি বলছেন, ‘হিমালয় কম বয়সী পার্বত্য উপত্যকা নয়।’ পার্বত্যমালার উঁচু অংশে আবহাওয়া একটি বড় বিষয়। সেই জায়গা থেকে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন এনটিপিসির প্রকল্পের পরিকল্পনায়। (PTI Photo) (Ayush Sharma)
4/7পরিবেশবিদ বলছেন, ২০২১ সালে বছরের প্রথম দিকে যে হড়পা বাণ এসেছিল তাও এই প্রকল্পের এলাকায়। হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্রকে যে ওই প্রকল্প কতটা দুর্বল করে দিয়েছে, তা ওই বন্যাই প্রমাণ করে। তিনি দোষ দিচ্ছেন রাজনৈতিক সরকারগুলিকেও। তারা কেবলই কম সময়ে বড় লাভের আশা করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। (PTI Photo) (Ayush Sharma)
5/7শুধু যোশীমঠ নয়, উত্তরকাশী, রুদ্রপ্রয়াগ, কর্ণপ্রয়াগে বহু বাড়িতে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। কার্যত আবহাওয়া জানান দিচ্ছে শহরায়ণের বিরূপ প্রভাবের ফলকেই! বিমলেন্দু বলছেন, যেখানে যেখানে ফাটল প্রথম দেখা গিয়েছে সেই এলাকাগুলি হয় চারধাম রাস্তার প্রজেক্টের কাছে, কিম্বা কোনও সুড়ঙ্গের কাছে বা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে। (PTI Photo) (Ayush Sharma)
6/7আপাতত উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে ঘোষিত হয়েছে সাময়িক ত্রাণের দেড় লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রতি। তবে তাতেও কি সংকট থেকে মুখ ফেরানো সম্ভব? তবে আপাতত বিপজ্জনক দুই হোটেলকে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কোনও বাড়ি আপাতত ভাঙা হবে না বলে জানানো হয়েছে। (PTI Photo) (Ayush Sharma)