Life Insurance Corporation of India: ভারতের সবথেকে বড় বিমা সংস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। ১৯৫৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর ২৪৫টি বেসরকারি বিমা সংস্থাকে এক ছাতার তলায় এনে জাতীয়করণ করা হয়েছিল। সেদিনই জন্ম নিয়েছিল এলআইসি। পাঁচ কোটি টাকার মূলধন নিয়ে শুরু করা সেই সংস্থা আজরে ৪০ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।
1/5গোটা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত বিমা প্রদানকারী সংস্থা এলআইসি। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৯১ শতাংশ জেলায় পদচিহ্ন রয়েছে এলআইসির। মোট ১৩ লক্ষ ৩০ হাজার এজেন্ট রয়েছে এলআইসির। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স) (Bloomberg)
2/5সম্প্রতি ভারত সরকার এলআইসি-তে তাদের অংশীদারিত্বের ৩.৫ শতাংশ বা ২২.১৩ কোটি শেয়ার বিক্রি করেছে বা বাজারে ছেড়েছে। ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংয়ের মাধ্যমে এই সংস্থার শেয়ার বাজারে ছাড়া হল এবং সরকার এর মাধ্যমে ২১ হাজার কোটি টাকা ঘরে তুলল নিজের। (Bloomberg)
3/5এলআইসি শুধু ভারতীয়দের বিমা প্রদান করে না, বরং অন্যান্য সংস্থাতেও বিনিয়োগ করে। বর্তমানে ভারতের বহু সংস্থার শেয়ারের মালিক এলআইসি। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ৮.৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক এলআইসি। তাছাড়া কানাড়া ব্যাঙ্ক (৮.৮৩ শতাংশ), মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (৫.৭ শতাংশ), জেএসডাব্লু স্টিল (৬.০৬ শতাংশ), সিটি ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক (৩.২ শতাংশ), আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল (২.১৩ শতাংশ), ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কে (১ শতাংশের কম) অংশীদারিত্ব রয়েছে এলআইসির। এর পাশাপাশি আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, লারসেন অ্যান্ড টুবরো, আইটিসির মতো সংস্থাতেও অংশীদারিত্ব রয়েছে এলআইসির। ফাইল ছবি : ব্লুমবার্গ (Bloomberg)
4/5আজ ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) এবং বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) নথিভুক্ত হতে চলেছে এলআইসির শেয়ার। শনিবার (১৬ মে) এলআইসির নথিভুক্ত না থাকা প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৯৩৬ টাকা। যা জীবন বিমা নিগমের ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংয়ের (আইপিও) সর্বোচ্চ দামের স্তরের থেকে ১৩ টাকা সস্তা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স) (Bloomberg)
5/5এর আগে গত ৪ মে বাজারে এসেছিল এলআইসি আইপিও (সেদিন রেপো রেট বৃদ্ধির ঘোষণার পর দুর্বল হয়ে পড়ে শেয়ার বাজার)। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলেছিল ৯ মে পর্যন্ত। সেইসময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ৯০২ টাকা থেকে ৯৪৯ টাকার স্তরে ধার্য করা হয়েছিল। কিছুটা সস্তায় পেয়েছিলেন পলিসিহোল্ডার এবং কর্মচারীরা। সেইসময় বাজার দুর্বল থাকলেও প্রায় তিনগুণ বেশি ‘সাবস্ক্রাইব’ হয়েছিল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাজারে মোট ১৬.২ কোটি শেয়ার ছাড়া হয়েছিল। সেজন্য ৪৭.৮৩ কোটি আবেদন জমা পড়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএফপি) (Bloomberg)