10 Points to Combat Adenovirus: অ্যাডিনোভাইরাস ঘুম কেড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের। ১০টি নীতি ঘোষণা করে নির্দেশিকা জারি করা হল এবার। কী কী থাকছে তাতে?
1/11অ্যাডিনোভাইরাস ঠেকাতে জোরদার পক্ষক্ষেপ রাজ্য সরকারের। এই জন্য ১০ দফা নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই জারি করা হল নির্দেশিকা। কী কী রয়েছে নির্দেশিকায়?
2/11১. মেডিক্যাল কলেজ থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপেরিটরি ক্লিনিক (এআরআই) চালু রাখতে হবে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা করে। শিশুস্বাস্থ্যের বিষয়টিকেই এখানেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
3/11২. আউটডোর বিভাগে ভিড় কমাতে প্রতিটা মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টা পৃথক পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপেরিটরি ক্লিনিক চালু করা হবে বলেও জানানো হল। সেখানে থাকবেন শিশুস্বাস্থ্যবিদ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
4/11৩. মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ড্যান্ট অথবা অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও অসুস্থ শিশুকে অন্যত্র রেফার করা যাবে না। এই বিষয়টিকেও রীতিমতো গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে এবার থেকে। আক্রান্ত শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।
5/11৪. জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভেন্টিলেশন-সহ আইসিইউ, সিসিইউ তৈরি রাখতে হবে। অ্যাডিনোভাইরাস রুখতে এই পদক্ষেপটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
6/11৫. চিকিৎসা পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট পিজিটি চিকিৎসক এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক দায়িত্বে থাকবেন। আপতকালীন পরিস্থিতির মতো করে বিষয়টিকে দেখা হবে।
7/11৬. এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দিয়ে সাধারণের মধ্যে অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। এমন কথাও বলা হয়েছে এখানে।
8/11৭. কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ-সহ মোট পাঁচটি হাসপাতালকে পেডিয়াট্রিক হাব হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। এতে সংক্রমিত শিশুরা সহজে চিকিৎসা পাবে এবং বিষয়টির উপর নজরদারিও সহজ হবে।
9/11৮. অ্যাডিনোভাইরাসের চিকিৎসা ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কীভাবে এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা যায়, সে সম্পর্কে নতুন নতুন আপডেট তাঁদের দেওযা হবে।
10/11৯. রাজ্যের প্রতিটি স্তরের হাসপাতালগুলি পরিষ্কা-পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের করতে হবে। এতে রোগটি ছড়ানোর হার কমবে।
11/11১০. চিকিৎসার সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০-৩১৩৪৪৪-২২২। এটি চালু করা হল। এই জরুরি পরিষেবায় ফোন করলে তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।