আইএমএ-র প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আচমকা কাশি, বমি, গলা ব্যথা, জ্বর, গায়ে ব্যথা এবং ডাইরিয়ার মতো উপসম দেখা গিয়েছে রোগীদের মধ্যে। এই সংক্রমণ সাধারণ পাঁচ থেকে ছয় দিন থাকছে রোগীর শরীরে। তিনদিন পর জ্বর চলে যাচ্ছে। তবে কাশি থাকছে। এই ধরনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ বলে জানা গিয়েছে।'
1/5অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ভাইরাল জ্বর হয়। ৫০ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে এই ধরনের জ্বর বেশি দেখা গিয়েছে। এদিকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যেও এই জ্বর দেখা যাচ্ছে। এই সব ক্ষেত্রে অঅযান্টিবায়োটিক ওষুধ না খেয়ে কাশির ওষুধ বা প্যারাসিটামোল খাওয়া উচিত। অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয় এই ক্ষেত্রে।
2/5এদিকে ডাইরিয়ার ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ কেসেই দেখা গিয়েছে তা ভাইরাল। এই ক্ষেত্রে অ্যামকজিসিলিন, নরফ্লক্স, সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক একারণে দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের ক্ষেত্রে। চিকিৎসকদের উদ্দেশে পরামর্শ, অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার আগে এটা ঠিক করে নির্ধারণ করে নিন যে ব্যাক্টেরিয়ার কারণেই এই জ্বর হয়েছে কি না।
3/5এদিকে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপে ইতিমধ্যে কলকাতায় গত কয়েকদিনে অনেকগুলি শিশুর প্রাণ গিয়েছে। তাই এবার অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় আরও এক নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোবেন এবং শিশুদেরও এটা অভ্যাস করান। বাইরে থেকে এসে জামা-কাপড় বদল করে এবং হাত ধুয়ে তবে শিশুদের কাছে যাবেন। ভিড় থেকে শিশুদের দূরে রাখাই ভালো।
4/5স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ভিড়বহুল স্থানে যেতে হলে মাস্ক ব্যবহার করবেন। কাশি বা হাঁচির সময় রুমাল অথবা নিজের কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা দিন। যেখানে সেখানে কফ বা থুতু ফেলবেন না। যে সব শিশুদের কোনও গুরুতর জন্মগত অসুখ বা অপুষ্টিজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের বিশেষ সাবধানে রাখতে হবে।
5/5স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জারি করা নির্দেশকায় আরও বলা হয়েছে, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন না। বড়দের কারও যদি সংক্রমণ হয় তিনি শিশু, অতিবৃদ্ধ এবং গর্ভবতী মহিলার থেকে দূরে থাকবেন। প্রতিদিন হালকা গরম নুন-জলে গার্গল করুন। ছোট বাচ্চাদের হালকা গরম জল বা অন্য যে কোনও গরম পানীয় বারে বারে খেতে দিন। বাসক, আদা, তুলসি, লবঙ্গ কাশি কমায় এবং কফ পাতলা হতে সাহায্য করে। তাই এই সময় কাশি হলে এগুলি খাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক বা কাফ সিরাপ দেবেন না।