Local Train Blockade during Bangla Bandh: বাংলা বনধ 'সফল করতে' থমকে যাবে লোকাল ট্রেনের চাকা! কোন কোল লাইনে শুরু রেল অবরো

Updated: 28 Aug 2024, 07:32 AM IST Abhijit Chowdhury

মঙ্গলে ছাত্রসমাজের 'নবান্ন অভিযান'-এ 'পুলিশি অত্যাচার'-এর প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টার 'বাংলা বনধ' ডাকা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। আর তারপরই রাজ্যের মন্ত্রীর আশঙ্কা, ঘুরপথে বনধ সফল করতে রেল কর্তৃপক্ষ লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করতে পারে।

1/7মঙ্গলে ছাত্রসমাজের 'নবান্ন অভিযান'-কে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কলকাতা এবং শহরতলিতে। এই আবহে পুলিশ প্রায় ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে। এই পরিস্থিতিতে 'পুলিশি অত্যাচার'-এর প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টার 'বাংলা বনধ' ডাকা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। আর তারপরই রাজ্যের মন্ত্রীর আশঙ্কা, ঘুরপথে বনধ সফল করতে রেল কর্তৃপক্ষ লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করতে পারে।

2/7গতকাল বিজেপি বন্ধ ঘোষণা করার পরই এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি রেলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, 'রেল কর্তৃপক্ষকে বলছি, কালকে কিন্তু রেল বন্ধ করবেন না।' পাশাপাশি বনধ নিয়ে চন্দ্রিমা আরও বলেছিলেন, 'এই বনধ প্ররোচনামূলক, অভিসন্ধি রয়েছে এর পিছনে। বাংলার মানুষ এই বনধকে সফল হতে দেবেন না। বনধ হচ্ছে না, হবে না।'

3/7এদিকে আজ সকাল থেকেই উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় রেল লাইনে বিজেপির পতাকা নিয়ে অবরোধ করলেন বিজেপি সমর্থকরা। বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্ত্তনিয়ার নেতৃত্বে চলছে অবরোধ। এর জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ট্রেন চলাচল। আটকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। সকলকে বনধ সমর্থন করার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এদিকে লক্ষীকান্তপুরে ট্রেন চলাচল বন্ধ।

4/7উল্লেখ্য, গতকাল নবান্ন অভিযানে গিয়ে গ্রেফতার হতে হয়েছে মোট ২২০ জনকে। শুধু কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ১২৬ জন। তাঁদের মধ্যে ১০৩ জন পুরুষ এবং ২৩ জন মহিলা। রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃতের সংখ্যা ৯৪। নবান্ন অভিযানে মোট ১৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার।

5/7এদিকে গতকাল যখন নবান্ন অভিযান কর্মসূচি শেষের দিকে, তখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংবাদিক সম্মেলন করে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। তফে বনধ যাতে সফল না হয়, তার জন্যে তৎপর প্রশাসন। আজ সরকারি অফিস খোলা থাকবে। দোকানপাট খোলা রাখার পাশাপাশি বেসরকারি যান চলাচলও স্বাভাবিক রাখার আবেদন করা হয়েছে।

6/7এদিকে গতকালকের নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'অনেক প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল একটা অরাজক ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য। এবং আজকে য়ে কর্মসূচি তাঁদের, বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হয়েছে। পুলিস প্রতিবাদ করেছে, অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। ছাত্র সমাজের নামে প্ররোচনা। এই প্ররোচনায় গুন্ডা আমদানি করা হয়েছে এবং পুলিসকে অনেক জায়গায় আন্দোলনের নামে আক্রমণের শিকার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিস ধৈর্য্য হারায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।'

7/7চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও বলেন, 'এই বনধটা কেন? সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বুঝি? পুজোর আগে অনেক বাণিজ্যিক লেনদেন হয়। যার জন্য এই রাজ্য অর্থনীতি সব রাজ্যের থেকে চাঙ্গা। সেটা বন্ধ করে দিতে হবে। অর্থনীতিতেও এইভাবে বাধা ফেলে, একটা কিছু করতে হবে আন্দোলনের নামে। তাই বনধের ডাক। বাংলায় বনধের রাজনীতি চলে না, যবে থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসকের মুখ্য় ভূমিকায় আছেন, বনধ রাজনীতি বন্ধ হয়ে গিয়েছেন। বনধটা আবার চালাতে হবে, এটা বুঝি ভেবেছেন তাঁরা। বনধ প্ররোচনামূলক, অভিসন্ধি রয়েছে এর পিছনে। বাংলার মানুষ এই বনধকে সফল হতে দেবেন না। বনধ হচ্ছে না, হবে না।'

পরবর্তী ফটো গ্যালারি