বিয়ের পর নিজের পদবি পালটাতে রাজি নন মধুমিতা, সেই নিয়ে যত গণ্ডোগোল।
1/8শেক্সপিয়ার বলে গেছেন, ‘হোয়াটস ইন এ নেম?’ আর পরিচালক সুদীপ দাসের ‘কুলের আচার’ বলবে ‘হোয়াটস ইন এ সারনেম?’ এটাই একটা গোটা ছবির বিষয়বস্তু। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন মধুমিতা সরকার ও বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।
2/8বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল এই ছবির শ্যুটিং পর্ব। আর এদিনই ‘কুলের আচার’-এর চরিত্রগুলোর লুক প্রকাশ্যে আনল প্রযোজনাসংস্থা ভেঙ্কটেশ ফিল্ম।
3/8মিঠি আর প্রীতমের প্রেমের গল্প বলবে এই ছবি। বিয়ের পর নিজের পদবি পালটাতে চায় না মিঠি। আজ ২০২১ দাঁড়িয়েও ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় এই ছোট্ট বিষয়টাই কতটা জটিল, তা উঠে আসবে ‘কুলের আচার’-এ। ছবিতে বিক্রমের বাবা-মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে ইন্দ্রানী হালদার ও সুজন নীল মুখোপাধ্যায়কে।
4/8মিঠি এক্কেবারে মিষ্টি মেয়ে। ভ্লগ করতে ভীষণ ভালোবাসে। তাঁর চোখে শাশুড়ি মা হলেন একদম হিটলার'। ছবিতে ইন্দ্রানী হালদারের চরিত্রের নাম মিতালি। তবে বউমার সঙ্গে মিতালি পাতাতে একদমই সফল হননি তিনি!
5/8মিঠি-প্রীতমের দাম্পত্য জীবনের একটা মজার অথচ জটিল জার্নি উঠে আসবে এই ছবিতে। প্রীতম একদম খোলা মনের এবং প্রচণ্ড সাপোর্টিভ হাজব্যান্ড। যদিও মিঠির চোখে সে ‘লেডি হাজব্যান্ড’। কিন্তু বউমার এই পদবি পরিবর্তনে অনীহা নিয়েই যত সমস্যা তাঁর বাবা-মায়ের।
6/8পরিচালক সুদীপ দাস জানালেন, ‘আমার গল্পের নায়িকা তাঁর বিয়ের আগেকার পদবিটাই ধরে রাখতে চাইলে সমাজ তাঁকে হাজারো প্রশ্ন করে। আমাদের পদবি আমাদের পরিচয়, অতীত, সেটা আমাদের বাবা-মায়ের ঐতিহ্য, তাহলে কেন শুধু মেয়েরাই নিজেদের পদবি পালটাবে? কেন বিয়ের পর তাঁর পরিচয়টা বদলে যাবে? তাহলে কি বিয়ের পর যে সকল মেয়েরা পদবি পালটে ফেলে তাঁরা ভুল? কে ঠিক, কে বেঠিক- এই সব টক-ঝাল-মিষ্টি প্রশ্ন নিয়েই কুলের আচার’।
7/8একদম চরিত্রের সঙ্গে মানানসই এই ছবিতে বিক্রম-মধুমিতার লুক। সাদা মাদা প্রিন্টেট শাড়ি কিংবা হ্যান্ডলুমে ধরা দিলেন মধুমিতা। কখনও তাঁর চুলে বিনুনি, কখনও আবার আলতো খোঁপা করা। অন্যদিকে কখনও ক্যাজুয়াল টি-শার্ট আবার কখনও সুতির কুর্তায় সেজেছেন বিক্রম।
8/8এই ছবির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের ভূমিকায় থাকছেন মৈনাক ভৌমিক। মৈনাক-মধুমিতা জুটির 'চিনি'র ভাবনা প্রশংসা কুড়িয়েছিল, এই ছবিতে আবারও মধুমিতাকে দেখা যাবে এক স্বাধীনচেতা নারীর ভূমিকায়। চলতি বছরেই মুক্তি পাবে এই ছবি।