ক্যান্টিনে ছিল তাঁর অনায়াস যাতায়াত, সেখানে কর্মরত সকলের সঙ্গেই ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় ছদ্মবেশের শালিনীর। পড়ুয়াদের সঙ্গে তো বন্দুত্ব ছিলই। এইভাবে কলেদের ভিতরে পড়ুয়া সেজে ঢুকে শালিনী শুরু করে দেন তাঁর গোপন অপারেশন। একটি ব়্যাগিংয়ের মামলা সমাধান করা ছিল তাঁর লক্ষ্য। শালিনী যখন তাঁর কাজে মনোনিবেশ করছেন, তখন বাইরের কেউ তাঁর আসল পরিচিতি ধরতেও পারেননি।
1/4ভীষণ মনোযোগী পড়ুয়া। ছাত্রী হিসাবে দারুন চটপটে। আর কলেজে নবাগতা হিসাবে তিনি সহজেই যে কারওর নজর কাড়তে পারেন। এমনই এক মহিলা পুলিশ কর্মীর ছাত্রী-রূপী ছদ্মবেশ পর্দাফাঁস করে দিয়েছে কলেজের ভিতরের ব়্যাগিংয়ের বিস্তৃত জালকে। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের। কলেজের নাম এমজিএম মেডিক্যাল কলেজ। পুলিশ কর্মী শালিনী চৌহানের গোপন অভিযান কোনও ফিল্মের স্ক্রিপ্টের থেকে কম নয়। (ছবি সৌজন্য- ফেসবুক)
2/4ক্যান্টিনে ছিল তাঁর অনায়াস যাতায়াত, সেখানে কর্মরত সকলের সঙ্গেই ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় ছদ্মবেশের শালিনীর। পড়ুয়াদের সঙ্গে তো বন্দুত্ব ছিলই। এইভাবে কলেদের ভিতরে পড়ুয়া সেজে ঢুকে শালিনী শুরু করে দেন তাঁর গোপন অপারেশন। একটি ব়্যাগিংয়ের মামলা সমাধান করা ছিল তাঁর লক্ষ্য। শালিনী যখন তাঁর কাজে মনোনিবেশ করছেন, তখন বাইরের কেউ তাঁর আসল পরিচিতি ধরতেও পারেননি। ২৪ বছরের আন্ডার কভার এই তদন্তকারী অফিসার একটি ‘ব্লাইন্ড’ ব়্যাগিং কেসে ৫ মাস ধরে তথ্য সরবরাহ করে গিয়েছেন পুলিশকে। ফাইল ছবি: পিক্সাবে
3/4ঘটনা ছিল জুলাই মাসের। সেই সময় প্রথম বর্ষের ১১ জন পড়ুয়ার ওপর সিনিয়রদের ব়্যাগিং করার অভিযোগ ছিল। সেই কেস সমাধান করতে ময়দানে নামেন শালিনী। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া সেদে নার্সিংয়ের ছাত্রী হিসাবে মেডিক্যাল কলেজে ঢুকে পড়েন তিনি। যে কেসের কোনও সূত্র খুঁজে পায়নি পুলিশ, সেই কেসের সমাধানে কলেজে ঢুকে পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখে, সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত তথ্য পেয়ে যেতে থাকেন শালিনী। জানতে পেরে যান যে কোন ফ্ল্যাটে ব়্যাগিংয়ের জন্য জুনিয়ারদের ডেকেছিল অভিযুক্ত সিনিয়রা।
4/4যে কেসের সমাধানে শালিনী সেখানে গিয়েছিলেন, সেই কেসে ১১ জন মধ্যপ্রদেশের পড়ুয়া অভিযুক্ত। একজন পশ্চিমবঙ্গের ও একজন বিহারের পড়ুয়া রয়েছেন। শালিনীর তদন্তের ভিত্তিতে সংযোগিতাগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে অভিযুক্তদের সমন করা হয়েছে। তদন্তের বাকি প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। (প্রতীকী ছবি)