পরীক্ষা চলাকালীনই কি মাধ্যমিকের ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্র কি ফাঁস হয়ে যায়? গতকাল থেকে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তার সঙ্গে চলছে রাজনৈতিক তরজাও। এরই মাঝে আজকে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, গতকাল প্রশ্নপত্রের যে তিনটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল সেগুলির সম্ভাব্য উৎসের বিষয়ে জানতে পেরেছেন তারা।
1/5আজকের প্রকাশিত প্রেস বিবৃতিতে পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সভাপতি রামনুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'মাধ্যমিকে ইংরেজি পরীক্ষার ১৬ পাতার প্রশ্নপত্রের তিনটি পৃষ্ঠার যে ছবি ভাইরাল হয়েছে, তার সম্ভাব্য উৎস আমরা চিহ্নিত করেছি। মালদা জেলা প্রশাসনকে আমরা সেই সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছি। কোন ব্যক্তি, কীভাবে এই কাজ করেছে, তা নির্ধারণ করার জন্য সাইবার অপরাধ তদন্তকারীরা এখন তদন্ত চালাবেন। ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পুরো বিষয়টির বিশদ জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ পর্ষদ সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে চলেছে।'
2/5মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা শুরুর পাক্কা ১ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের মাথায় ইংরেজির 'প্রশ্নপত্র' পোস্ট করে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দাবি করেছিলেন, ওই প্রশ্নপত্র নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে কিনা, তা কিছুক্ষণ পরেই বোঝা যাবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
3/5শুক্রবার বেলা ১২ টা থেকে মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর ১ টা ৪২ মিনিটে টুইটারে তিনটি ছবি পোস্ট করে সুকান্ত লেখেন, ‘আজ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা। সকল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই। যদিও আজ সকাল থেকেই এবারের মাধ্যমিক পরিক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র বলে এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু সময়ের মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
4/5সাংবাদিক বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘আজ ইংরেজির প্রশ্নপত্র মালদা জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। পর্ষদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়েছে। পড়ুয়ারা ভিতরে ঢুকে গিয়ে মোবাইল নিয়ে ছবি তুলে বেরিয়েছে। কিন্তু আমার কাছে এটা হোয়্যাটসঅ্যাপে পৌঁছায় আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি) ১২ টা ৪৮ মিনিটে। অর্থাৎ পরীক্ষা শুরু হওয়ার, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অনেক আগে থেকেই এই প্রশ্নপত্র মালদা জেলার বিভিন্ন গ্রুপে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার কাছে খবর আছে, তৃণমূল শিক্ষাসেলের এক নেতা এই প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। পর্ষদ তদন্ত করে দেখুক।’
5/5এদিকে শিক্ষামন্ত্রী এই নিয়ে বলেন, 'মালদার পাশেই সুকান্ত মজুমদারের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর।' ব্রাত্য বসু বলেন, 'বোর্ড (মধ্যশিক্ষা পর্ষদ) সভাপতি বলছেন যে এটা অন্তর্ঘাত হয়েছে। আর আমি বলছি যে অন্তর্ঘাত হয়েছে মালদায়। কাকতলীয়ভাবে যেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি (সুকান্ত)। তার সংলগ্ন জেলা হল বালুরঘাট (পড়ুন দক্ষিণ দিনাজপুর)। এই অন্তর্ঘাতের পিছনে সেই সূত্র নেই তো? মালদার একটি স্কুল থেকেই (প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ল) হল।' (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)