শনিবার আমচকাই ত্রিপুরার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সন্ধ্যার মধ্যেই রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে বিজেপি হাইকমান্ড। ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন মানিক সাহা। এর আগেও গদি ধরে রাখতে উত্তরাখণ্ড, গুজরাট এবং কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করেছে বিজেপি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকল ত্রিপুরাতেও। তবে এর পাশাপাশি আরও এক ট্রেন্ড ধরে রাখলেন মানিকবাবু।
1/5উত্তরপূর্বের রাজনীতিতে কংগ্রেস ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নেতার সংখ্যা এবার বেড়ে দাঁড়াল ৪! মানিকবাবুর আগে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বীরেণ সিং, নেফিউ রিওরাও কংগ্রেস ছাড়ার পর নিজ নিজ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হলেন মানিক সাহা। (ছবি - লাইভহিন্দুস্তান)
2/5হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ২০২১ সালে অসমের ১৫তম মুখ্যমন্ত্রী হন। সর্বানন্দ সোনওয়ালের জায়গায় তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। হিমন্ত ২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে শর্মা জোরালো প্রচার করেছিলেন দলের হয়ে। উত্তরপূর্বে বিজেপির জয়জয়কারের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয় হিমন্তকে। অসমের জালুকবাড়ি বিধানসভা আসন থেকে টানা পঞ্চমবারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন হিমন্ত। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সোনওয়ালের সরকারে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য, অর্থ, শিক্ষা মন্ত্রকের মন্ত্রী ছিলেন।
3/5২০১৬ সালে মানিকবাবু কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২০ সালে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল বিজেপি। পেশায় দাঁতের সার্জারির প্রফেসর মানিকবাবু পটনার সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি ডেন্টাল সার্জারিতে মাস্টার ডিগ্রি পেয়েছিলেন। বিগত দিনে ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে ডেন্টাল সার্জারির প্রফেসর ছিলেন। আগরতলায় ডাঃ বিআরএএম টিচিং হাসপাতালেও শিক্ষকতা করতেন তিনি। তিনি ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি। এহেন উচ্চশিক্ষিত প্রফেসর ত্রিপুরার ১১তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আজকে। (ছবি - টুইটার)
4/5এন বীরেণ সিং ২০১৬ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করেন এবং মণিপুরের ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক এক বছর আগে বিজেপিতে যোগ দেন। ১৫ বছর পর রাজ্যে একটি অ-কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালে। বিজেপি এন বীরেণ সিংকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল। মণিপুরে বিজেপির প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন বীরেণ। ২০২২ সালের নির্বাচনেও বিজেপি মণিপুরে জয়ী হয় এবং বীরেণ দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন। এর আগে বীরেণ সিং ইবোবি সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। (ফাইল ছবি পিটিআই)
5/5নেফিউ রিও নাগাল্যান্ডের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি টানা তিনটি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। রিও এর আগে কংগ্রেসে ছিলেন। ২০০২ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। নাগাল্যান্ড ইস্যুতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এসসি জামিরের সাথে মতপার্থক্যের কারণে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। এরপর রিও নাগা পিপলস ফ্রন্টে (এনপিএফ) যোগ দেন। এটি স্থানীয় রাজনৈতিক দল এবং বিজেপির সাথে যুক্ত ছিল। তাঁর নেতৃত্বে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স অফ নাগাল্যান্ড গঠিত হয়েছিল। এই জোট ২০০৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিল। নেফিউ রিও প্রথমবারের মতো নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী হন। এরপর ২০০৮, ২০১৩ সালেও মুখ্যমন্ত্রী হন রিও। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে রিও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টিতে যোগ দেন রিও। এবারও বিজেপির সাথে জোট বেঁধেছিলেন তিনি। নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি বিজেপির সমর্থনে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি।