দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেরার জন্য সিবিআই অফিসে প্রবেশ করলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির 'সেকেন্ড-ইন-কমান্ড' মণীশ সিসোদিয়া। অবশ্য জেলে প্রবেশের আগেই সিসোদিয়া নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেলেন। সঙ্গে আম আদমি পার্টির সমর্থকদের সঙ্গে বিশাল রোড শো করলেন।
1/5আজ সিবিআই দফতরের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য সকাল ১০টার সময় নিজের বাড়ি থেকে বের হন মণীশ সিসোদিয়া। উল্লেখ্য, মণীশকে আগেও তলব করা হয়েছিল। তবে বাজেট সংক্রান্ত কাজের জন্য সিসোদিয়া বাড়তি সময় চেয়েছিলেন সিবিআই-এর কায়েছ। সেই সময় মঞ্জুরও করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এরপর সিবিআই জানায়, জেরার জন্য ২৬ তারিখ হাজিরা দিতে হবে সিসোদিয়াকে।
2/5এই আবহে আজ রোড শো করে সমর্থকদের সঙ্গে দিল্লির সিবিআই অফিসে যান সিসোদিয়া। সেই সময় সমর্থকদের উদ্দেশে সিসোদিয়া বলেন, 'আমি ৭-৮ মাস জেলে থাকব। আমার জন্য দুঃখ করবেন না, গর্বিত হবেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই তিনি আমাকে একটি ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে চান। আমাদের লড়াই করা উচিত। আমার স্ত্রী প্রথম দিন থেকে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে তিনি এখন অসুস্থ এবং বাড়িতে একা। তাঁর যত্ন নেবেন। আর আমি দিল্লির ছেলেমেয়েদের বলতে চাই, কষ্ট করে পড়াশুনা করো এবং তোমার বাবা-মায়ের কথা শুনো।'
3/5এদিকে আম আদমি পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, সিসোদিয়া সৎ এবং তিনি সম্পূর্ণ ভাবে তদন্তে সহযোগিতা করবেন। অপরদিকে গতকালই এক সংবাদ চ্যানেলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ রেজরিওয়াল বলেন, 'মণীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সিবিআই। আমাদের সূত্র বলছে রবিবার তাকে গ্রেফতার করা হবে... এটা খুবই দুঃখজনক।'
4/5এর আগে গত জানুয়ারি মাসে দীর্ঘক্ষণ 'তল্লাশি' চালিয়ে মণীশ সিসোদিয়ার অফিস থেকে একটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সিবিআই-এর একটি তদন্তকারী দল দিল্লির সচিবালয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার অফিসে গিয়েছিল। তবে সেটিকে 'অভিযান' বলে আখ্যা দিতে অস্বীকার করে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে আবগারি দুর্নীতির সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু রেকর্ড হাতে আসে।
5/5উল্লেখ্য, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। মুখ্য সচিবের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই এই সুপারিশ করেন ভিকে সাক্সেনা। দিল্লির মুখ্য সচিবের রিপোর্টে আবগারি নীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সিসোদিয়ার পাশাপাশি দিল্লির তৎকালীন আবগারি কমিশনার আরভ গোপী কৃষ্ণের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। উল্লেখ্য, আবগারি দপ্তর সিসোদিয়ার অধীনে।