আজ কলকাতায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। এদিন সেই অনুষ্ঠানে নেতাজিকে নিয়ে অনেক কিছু বলেন মোহন ভাগবত। আরএসএস প্রধান দাবি করেন, তাঁরা প্রথম থেকেই নেতাজির জন্মদিন পালন করতেন। পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, নেতাজির আদর্শেই চালিত হয় আরএসএস।
1/5ভাগবত আজ বলেন, নেতাজি ও কংগ্রেসের লক্ষ্য একই ছিল। তবে যখন নেতাজি দেখলেন যে শুধুমাত্র অহিংস আন্দোলনে সেই লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে না, তখন তিনি পথ পরিবর্তন করেছিলেন। নেতাজি যে উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাধীনতার লড়াইয়ে নেমেছিলেন, আজ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘও সেই একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে চলেছে। (PTI)
2/5আরএসএস প্রধানের কথায়, বিশ্ব মঞ্চে ভারতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতেন নেতাজি। আজ সংঘও সেই কাজ করছে। তিনি চাইতেন ভারতের বৈভব বৃদ্ধি। বৈভব মানে শুধু আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া নয়। ভারতের সংস্কৃতি ও তার আদর্শের বৈভবকে প্রতিষ্ঠা করাই আসল উদ্দেশ্য। সেই কারণেই আত্মসম্মানের সঙ্গে স্বাধীনতা চেয়েছিলেন নেতাজি। আমার নির্বাচনে লড়তে আসিনি। আমাদের নামের দরকার নেই। আমরা সমাজের সকলের জন্য কাজ করতে এসেছি। (PTI)
3/5রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান দাবি করেন, ভারতকে স্বাধীন করার স্বপ্ন অনেকেই দেখালেও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার সাহস দেখিয়ে ছিলেন মাত্র একজন। তাই আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করেছিলেন নেতাজি। সিঙ্গাপুর থেকে অসম পর্যন্ত চলে এসেছিলেন তিনি। নেতাজির ভাগ্য সহায় থাকলে, ভারত আরও অনেক আগেই স্বাধীন হয়ে যেত। (PTI)
4/5মোহন ভাগবত বলেন, নেতাজির জন্য কেউ কিছুই করেনি কোনওদিন। তবুও, তিনি দেশের জন্য নিজের সর্বস্ব উজার করে দিয়েছিলেন। তিনি একজন আদর্শ নেতা। তিনি সবার মধ্যে থেকে নেতৃত্ব দিতে যানতেন। শুধু নেতৃত্ব গুণের জন্য সবাই নেতাজিকে মনে রেখেছেন। নেতাজি নেতা ছিলেন। পাশাপাশি তিনি যুদ্ধও করেছেন। সেনার কমান্ডার যুদ্ধে যান না। কিন্তু নেতাজি সিঙ্গাপুর থেকে অসম পর্যন্ত এসেছিলেন। (PTI)
5/5আরএসএস প্রধান আরও বলেন, আমরা প্রথম থেকেই নেতাজিকে সম্মান জানিয়ে আসছি। আমি একবার নিজে শ্যামবাজারে ছিলাম। এখন সংগঠন বড় বলে লোকে জানতে পারে। সমাজের প্রতি ওনার ভাবনাকে সম্মান জানাই। এত পড়াশোনা জানতেন, অনেক টাকা উপার্জন করতে পারতেনছ। তবে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। নিজেকে সমর্পণ করেছিলেন দেশের জন্য। এটাও এক তপস্যা। (PTI)