আপনি যদি আপনার অর্থ বিনিয়োগ করতে চান এবং কোনও ঝুঁকি ছাড়া ভালো রিটার্নও পেতে চান, তাহলে পোস্ট অফিস আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প। পোস্ট অফিসের বেশ কয়েকটি স্কিমেই টাকা দ্বিগুণ হয়ে যায় কয়েক বছরে। একনজরে দেখে নিন সেই স্কিম এবং টাকা দ্বিগুণ হওয়ার হিসেব।
1/4কিষাণ বিকাশ পত্র ৭ শতাংশ হারে সুদ দেয়। এই স্কিমে ১০ বছর এবং ৪ মাসে আপনার টাকা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ধরুন আপনি আজ কেভিপি স্কিমে ২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন, ১২৪ মাস পরে আপনি ৪ লক্ষ টাকা পাবেন। কিষাণ বিকাশ পত্র প্রকল্পটি বেশিরভাগ ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানতের চেয়েও ভালো হারে সুদ দেয়।
2/4ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেটে বর্তমানে ৬.৮ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। এই স্কিমে প্রায় ১২ বছরে আপনার টাকা দ্বিগুণ হবে। তবে এই স্কিমটি পাঁচ বছর মেয়াদী। এই আবহে আপনাকে পঞ্চম এবং দশম বছরে এই স্কিমের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে। এই স্কিমে ২ লাখ বিনিয়োগ করলে পাঁচবছর পর আপনার হাতে আসবে ২,৭৭,৮৯৯ টাকা। সেই টাকা আবারও বিনিয়োগ করতে হবে। দশম বছরের পর আপনার মোট অর্থের পরিমাণ হবে ৩,৮৬,১৩৯। আরও একবার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। ১২তম বছরে আপনার টাকা দ্বিগুণ হবে।
3/4পাঁচবছর মেয়াদের পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে ৬.৭ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। এদিকে দুই বছর মেয়াদী ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার ৫.৭ এই পোস্ট অফিস স্কিমের মাধ্যমে আপনার জমা টাকা ১২ বছরেই দ্বিগুণ হবে। এই স্কিমে ২ লাখ টাকা জমা দিলে পাঁচবছর পর (৬.৭% হারে) আপনি ২,৬৭,০০ টাকা পাবেন। সেই টাকা আরও পাঁচবছরের জন্য বিনিয়োগ করলে ৩,৫৬,৪৪৫ টাকা পাবেন। এরপর দুই বছরের (৫.৭% হারে) জন্য ফের স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ করলে আপনার টাকা হবে ৩,৯৭,০৮০ টাকা।
4/4এদিকে পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন স্কিমে ৭.৬ শতাংশ হারে সুদ মেলে। এই স্কিমে ১১ বছরে আপনার টাকা দ্বিগুণ হবে। ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রথম পাঁচবছর পর তা হবে ২ লাখ ৭৬ হাজার। সেই টাকা ফের বিনিয়োগ করলে ১০ বছর পর তা দাঁড়াবে ৩,৭২,৬০৮ টাকায়। এই টাকা ফের বিনিয়োগ করলে ১ বছরেই এই টাকার পরিমাণ ৪ লাখের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে।