এইচ৩এন২ ভাইরাস বা হংকং ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে দেশে এখনও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের একজন হরিয়ানা এবং অপরজন কর্ণাটকের বাসিন্দা। এই আবহে আচমকাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশে। অজ্ঞাত ফ্লু কী কারণে হয়? কীভাবে এর উপসর্গ বোঝা যাবে? এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন ঘুরতে শুরু করেছে মানুষের মনে।
1/4জানা গিয়েছে, গত ছ’মাসে এইচ৩এন২ ভাইরাসে রূপ পরিবর্তন হয়েছে অপ্রত্যাশিত ভাবে। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। 'ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রাম নেটওয়ার্কের' মাধ্যমে এই নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওপরই নজর রয়েছে কেন্দ্রের। দেশে গতকাল পর্যন্ত ৯০ জন এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। (AP)
2/4এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কীভাবে বুঝবেন? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এইচ৩এন২ ভাইরাসের উপসর্গ হল - ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, হাঁচি ও নাক দিয়ে জল পড়া, বমি বা বমি বমি ভাব, গলা ব্যাথা বা গলা ফোলা, পেশী এবং শরীরে ব্যথা, কিছু ক্ষেত্রে ডায়রিয়া। এই আবহে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যদি কোনও ব্যক্তির শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, বুকে ব্যথা হয় বা অস্বস্তি অনুভব করেন, ক্রমাগত জ্বর আসে এবং খাবার খাওয়ার সময় গলায় ব্যথা অনুভব করেন তবে তাঁকে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। (AP)
3/4কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন বৃদ্ধ ব্যক্তিদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে যাঁদের শ্বাসকষ্ট আছে, হার্টের সমস্যা আছে কিংবা কিডনির রোগ রয়েছে, তাঁদের বেশি সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এদিকে হংকং ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগী ভরতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রী সরকার। এদিকে দেখা গিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউ-তে ভরতি রোগীর সংখ্যাও ক্রমে বাড়ছে। তবে সরকারের আশা, মার্চের শেষের দিকে এই সংক্রমণ কিছুটা কমবে। (AP)
4/4এদিকে কোমর্বিডিটি যুক্ত বৃদ্ধদের পাশাপাশি শিশুদেরও এই ভাইরাস থেকে বিশেষ ভাবে সাবধানে রাখার জন্য সতর্ক করেছে কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করছে। বিশেষ করে আক্রান্তের শ্বাসনালি ও ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে হাত ধোয়া, মাস্ক পরার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। (AP)