বিজেপিকে হারাতে ত্রিপুরায় 'হাতে উঠেছিল কাস্তে'। দীর্ঘ শত্রুতা ভুলে একে অপরের সঙ্গে জোট করেছিল বাম ও কংগ্রেস। তবে প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরাতেও ফ্লপ বাম-কংগ্রেস জোট। আদিবাসীদের দল তিপ্রা মোথা বাম-কংগ্রেসের থেকে বেশি আসনে এগিয়ে সকাল সকাল।
1/5সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত যা ফলাফলের ট্রেন্ড সামনে এসেছে, তাতে তিপ্রা মোথা প্রায় ১০টির বেশি আসনে এগিয়ে। সেখানে বাম-কংগ্রেস জোট ডবল ফিগারে যেতে পারেনি এখনও। বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পিছিয়ে আছেন ঠিকই। তবে গোটা রাজ্যে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি বাম-কংগ্রেস জোট। (ANI)
2/5২০১৮ সালের নির্বাচনে ত্রিপুরায় রেকর্ড গড়ে বামফ্রন্টকে তাদের ঘাঁটি থেকে উচ্ছেদ করেছিল বিজেপি। এর আগে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৬টি আসনে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল বিজেপি। জোটসঙ্গী আইপিএফটি পেয়েছিল ৮টি আসন। মাত্র ১৬টি আসনে পেয়ে গদিচ্যুত হয়েছিল বামেরা। চলতি নির্বাচনে অবশ্য বাম ও কংগ্রেস হাত মিলিয়েছে। বিজেপিকে হারাতে বিগত পাঁচ দশকের শত্রুতা ভুলেছে বাম এবং কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ মডেলেই এই প্রথম ত্রিপুরায় বাম ও কংগ্রেস জোট করে ভোটে লড়ছে। (ANI)
3/5এদিকে বিজেপিকে কঠিন লড়াই দিতে পারে ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎ দেববর্মার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক দল তিপ্রা মোথা। প্রদ্যোতের দল ৪২টি আসনে এককভাবে প্রার্থী দিয়েছে। তবে প্রদ্যোৎ নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। বৃহত্তর তিপরাল্যান্ডের সাংবিধানিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা অন্য কোনও দলের সঙ্গে সমঝোতা করবে না বলে জানিয়েছেন প্রদ্যোৎ। আদিবাসী অধ্যুষিত অন্তত ২০টি বিধানসভা আসনে তিপ্রা মোথা খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গতবার এই আসনগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটিতেই জয় পেয়েছিল বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটি। তবে এবার তিপ্রা মোথা এই আসনগুলিতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করেছে। এর ফলে এই ২০ আসনই শেষ পর্যন্ত ফলাফলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। (ANI)
4/5এদিকে এবার ত্রিপুরায় ভোটযুদ্ধে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেখানে একাধিকবার গিয়ে প্রচার করে এসেছেন। সে রাজ্যে পা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল সে রাজ্যে কেমন ফল করে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে অনেকেই। (ANI)