কয়েক মাস আগেই প্রায় ১১ হাজার জনকে ছাঁটাই করে দিয়েছিল মেটা। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ তা নিয়ে আবেগঘন বার্তাও দিয়েছিলেন। তবে ফের একবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে মেটা। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে মেটা। শুধু তাই নয়, ৫০০০ পদকে বিলুপ্ত করতে চলেছে তারা।
1/5নিজেদের আর্থিক কর্মক্ষমতা উন্নত করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টায় ২০২৩ সালটিকে 'দক্ষতার বছর' হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে মেটা। এই আবহে সংস্থার কাঠামোকে যত সম্ভব ছোট করতে চাইছে মেটা। ছোট ছোট বেশ কিছু প্রোজেক্টে এখন হাত দিচ্ছে না তারা। নিয়োগ প্রক্রিয়া ধীর গতিতে চালাচ্ছে তারা। এর আগে গত নভেম্বরেই ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল মেটা। (AFP)
2/5এদিকে মেটাতে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের খবরের পরে সংস্থার শেয়ার দর বেড়েছে। সূত্রের খবর, বিজ্ঞাপন থেকে মেটার আয় কমেছে। সুতরাং ব্যয় কমানোর জন্যই বিপুল সংখ্যক কর্মীকে ছাঁটাই করছে মেটা। শেয়ার বাজারে মেটার পেশ করা এক ফাইলিং অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মেটা তাদের খরচ কমিয়ে ৮৬ বিলিয়ন ডলার করতে চায়। এর আগের বছর তা ৯২ বিলিয়ন ডলার ছিল। (AFP)
3/5এর আগে জানুয়ারি মাসেই কিছু 'মিডল ম্যানেজার'কে কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল মেটা। এদিকে অন্যেক ওপর নজরদারি ছেড়ে অনেক পদস্থ কর্মীকেই 'কন্ট্রিবিউটর' হিসেবে কাজ করতে বলে সংস্থা। অর্থাৎ, ম্যানেজার না হয়ে সাধারণ কর্মীর মতো কাজ করে সংস্থার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মার্ক জাকারবার্গ নিজে বারবার 'সঠিক প্রোজেক্ট'কে অগ্রাধিকার দেওয়ার বার্তা দিচ্ছিলেন কর্মীদের। (AFP)
4/5মেটার প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, এপ্রিলের শেষের দিকে টেক গ্রুপে ছাঁটাই এবং কাঠামো বদলের ঘোষণা করতে চলেছে সংস্থা। এদিকে মে মাসের শেষের দিকে ব্যবসায়িক গ্রুপগুলিতে পুনর্গঠন এবং ছাঁটাই ঘোষণা করবে কোম্পানি। এদিকে সামগ্রিকভাবে সংস্থা নিয়োগের সংখ্যা কম হওয়ায় মানবসম্পদ বিভাগে নিয়োগকারী দলের আকারও হ্রাস করতে চলেছে মেটা। (AFP)
5/5উল্লেখ্য, কোভিডকালে বিপুল সংখ্যা কর্মী নিয়োগ করেছিল মেটা। ২০২০ সালে একলাফে মেটার কর্মী সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। ২০২১ সালে সেই সংখ্যাটা আরও ২৩ শতাংশ বেড়েছিল। গত নভেম্বরে ১১ হাজার জনকে ছাঁটাই করার আগে মেটার স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৮৭ হাজার। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে 'আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের' ওপর বেশি বিনিয়োগ করতে চাইছে সংস্থা। সেই আবহে কর্মী ছাঁটাই চলছে মেটায়। (AFP)