বিগত বেশ কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন কংগ্রেস ও অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে চালু হয়েছে ওল্ড পেনশন স্কিম। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান অবশ্য স্পষ্ট, ওপিএস চালু করে নিজেদের ঘাড়ে আর্থিক দায়বদ্ধতার বোঝা বাড়াচ্ছে রাজ্যগুলি। এই নিয়ে প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর ডি সুব্বারাও একই মত পোষণ করেন। আর এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন রঘুরাম রাজন।
1/5ইউপিএ জমানায় আরবিআই গভর্নর পদে থাকা অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজন জানান, বিভিন্ন রাজ্যে ওপিএস ফিরিয়ে আনার এই পদক্ষেপে তিনি উদ্বিগ্ন। কংগ্রেস ঘেঁষা এই অর্থনীতিবিদের মতে, পুরনো পেনশন স্কিম চালুর জেরে বিপুল পরিমাণের আর্থিক বোঝা বইতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকেই। তাঁর সাফ কথা, দীর্ঘ মেয়াদে ওপিএস-এর জেরে চাপ পড়বে রাজ্যের কোষাগারে। (Bloomberg)
2/5এই আবহে পেনশনভোগীদের জন্য কম খরচে বিকল্প কোনও সুবিধা প্রদানের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার পরামর্শ দিয়েছেন আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। রঘুরাম রাজনের কথায়, আগের নিয়মে সরকারি কর্মীদের পেনশন ক্রমাগত বাড়তে থাকে বর্তমান বেতনের হিসেবে। এতে সরকারকে অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হয় অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পিছনে। এই আবহে রাজনের পরামর্শ, ভবিষ্যতের কথা ভেবে পদক্ষেপ করা উচিত রাজ্যগুলির। (Bloomberg)
3/5রঘুরাম রাজন এও বলেন, 'বর্তমান সমাজে সরকারি কর্মীদের সর্বাধিক আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা নিয়ে রাজ্য সরকারগুলিকে ভাবতে হবে।' রঘুরাম রাজনের এহেন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এর আগে আরবিআই-এর তরফেও বলা হয়েছিল, ওপিএস ফিরিয়ে আনলে রাজ্যগুলির ওপরই ঋণের বোঝা বাড়বে। (Bloomberg)
4/5প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৩ পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিল সরকার। তবে বাজপেয়ী জমানায় চালু হয় ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে চালু হয় এনপিএস। এই নয়া ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক বোঝা হালকা হয়। প্রাথমিক ভাবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য ছিল। পরবর্তীতে সব রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য তা প্রযোজ্য হয়। তবে সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাবের মতো রাজ্যে নতুন করে চালু হয়েছে ওপিএস। (Bloomberg)
5/5উল্লেখ্য, নয়া পেনশন প্রকল্পের আওতায় নিজের কর্মজীবনে যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেন কর্মচারীরা, অবসরের সময় সেটার ৬০ শতাংশ টাকা তোলা যায়। যে টাকা তুললে কর দিতে হয় না। বাকি ৪০ শতাংশ অ্যানুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, শেষ যে বেতন তুলেছিলেন সরকারি কর্মচারী, সেটার ৩৫ শতাংশের মতো পেনশন বাবদ পাওয়া যায়। তবে সেটা যে মিলবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ পুরোটাই বাজারের উপর নির্ভর করে। আর এই ঝুঁকির কারণেই এই পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি সরকারি কর্মীদের একাংশের। (Bloomberg)