মার্চ মাসের শেষ লগ্নে বৈঠকে বসতে চলেছে এমপ্লয়ার্জ প্রোভিডেন্ট ফান্ড অর্গনাইজেশনের কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড। সেই বৈঠকে নির্ধারিত হবে আগামী অর্থবর্ষের জন্য পিএফ-এর সুদের হার। এই আবহে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পিএফ-এর সুদের হার অপরিবর্তিতই রাখা হতে পারে এবারও। বা পিএফ-এর সুদের হার কমিয়ে ৮ শতাংশও করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে রিপোর্টে।
1/5পিএফ-এ সুদের হার ইতিমধ্যেই ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বথেকে নিচে রয়েছে। এই হার আরও কমলে মাথায় হাত পড়বে চাকরিজীবীদের। বর্তমানে ইপিএফও-র সাড়ে ছয় কোটিরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। এই আবহে গতবছর পিএফ-এর সুদের হার কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালের পর এটাই পিএফ-এৎ সর্বনিম্ন সুদের হার।
2/5এর আগে এর আগে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পিএফ-এর সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। তার ঠিক এক বছর আগে ২০১৯০২০ অর্থবর্ষে এই সুদের হার ৮.৬৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.৫ শতাংশ করা হয়েছিল। ২০২০-২১ সালে সেই হারই বহাল রাখা হয়েছিল। তবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছিল। এই আবহে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য যদি পিএফ-এর সুদের হার আবারও কমানো হয়, তা বড় ধাক্কা হবে চাকরিজীবীদের জন্য।
3/5উল্লেখ্য, আগামী ২৫-২৬ মার্চ এমপ্লয়ার্জ প্রোভিডেন্ট ফান্ড অর্গনাইজেশনের কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠক হতে চলেছে, যাতে সুদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। খবর বলছে, পিএফ-এর সুদ আরও কমিয়ে ৮ শতাংশ করা যেতে পারে। যদিও বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, পিএফ-এর সুদের হার হয়ত কমানো হবে না। তা অপরিবর্তিতই রাখা হবে।
4/5আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তার আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এই আবহে আম জনতাকে চিন্তায় ফেলে পিএফ-এর সুদের হার কমানোর পথে হয়ত হাঁটবে না কেন্দ্রীয় সরকার। তবে আপাতত ইপিএফও-র সুদের হার বৃদ্ধিরও কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
5/5প্রসঙ্গত, পিএফ-এ চাকরিজীবীদের গচ্ছিত টাকা অন্য জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়। সেখান থেকে যে লাভ হয়, তার থেকেই সুদ বাবদ টাকা দেওয়া হয় কর্মচারীদের। বর্তমানে, ইপিএফও-র মাধ্যমে ৮৫ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয় সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ডে। বাকি ১৫ শতাংশ ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করা হয়। ঋণ ও ইক্যুইটি থেকে উপার্জনের ভিত্তিতে এই পিএফের সুদ নির্ধারণ করা হয়।