রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের তৃতীয় স্কোয়াড্রন হাতে পেয়েছে ভারত। রাশিয়া থেকে মোট পাঁচটি স্কোয়াড্রন পাওয়ার কথা ভারতের। রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের প্রথম স্কোয়াড্রন ভারতে এসে পৌঁছেছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। এরপর ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন এসে পৌঁছেছিল ভারতে।
1/4এর আগে ২০২১ এবং ২০২২ সালে রাশিয়া থেকে যে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের স্কোয়াড্রন ভারতীয় সেনার তরফে চিন ও পাক সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের এই তৃতীয় স্কোয়াড্রনটি রাজস্থান বা পঞ্জাবে মোতায়েন করা হতে পারে। মোদী সরকার যদিও এই মিসাই সিস্টেম হাতে পাওয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও শব্দ খরচ করছে না। (REUTERS)
2/4প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন টাকার চুক্তির মাধ্যমে এই অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের পাঁচটি স্কোয়াড্রন রাশিয়া থেকে কিনছে ভারত। এই সিস্টেম ব্যবহার করতে ইতিমধ্যেই ভারতীয় বিমান বাহিনীর অনেকে রাশিয়াতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। এদিকে আমেরিকা চাইছিল না যে রাশিয়া থেকে ভারত এই মিসাইল সিস্টেম কিনুক। তবে মার্কিন চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই এই চুক্তি বাবদ রাশিয়া থেকে মিসাইল সিস্টেম গ্রহণ করেছে ভারত। এর জেরে অবশ্য আমেরিকা ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি হোয়াই হাউজের তরফে। (REUTERS)
3/4প্রসঙ্গত, এই বিশেষ প্রযুক্তির এয়ার মিসাইল সিস্টেমটি ১৯৯০ সালে প্রথম সামনে আসে। চিনও রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কিনছে। রাশিয়ার তৈরি এই মিসাইল ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশে দূরপাল্লার আঘাত হানতে সক্ষম। ২০১৫ সালে এই সিস্টেম কেনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পরে ২০১৮ সালে ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছিল (REUTERS)
4/4মূলত চিন ও পাকিস্তানের দিক থেকে আগত কোনওরকম হুমকি প্রতিরোধে সক্ষম হবে এই মিসাইল। এর জন্যই এই মিসাইল সিস্টেম কিনে সীমান্তে মোতায়েন করছে ভারত। জানা গিয়েছে প্রথম দু'টি মিসাইল এমন ভাবে কৌশলগত ভাবে মোতায়েন করা হয়েছে যাতে চিন এবং পাকিস্তান থেকে যদি হামলা চালানো হয়, তাহলে তা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে ভারত। তৃতীয় স্কোয়াড্রনটি পশ্চিম ভারতে আরও সুরক্ষিত করতে মোতায়েন করা হতে পারে। (REUTERS)