বাংলা নিউজ > ছবিঘর > ঘরে বাইরে > India's Largest Dam near China Border: চিন সীমান্ত ঘেঁষে তৈরি হবে দেশের সর্ববৃহৎ বাঁধ, অনুমোদন দিল কেন্দ্র, জানুন বিশদ
India's Largest Dam near China Border: চিন সীমান্ত ঘেঁষে তৈরি হবে দেশের সর্ববৃহৎ বাঁধ, অনুমোদন দিল কেন্দ্র, জানুন বিশদ
দেশের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের নাম - 'দিবাং মাল্টিপার্পাস প্রোজেক্ট'। উত্তরপূর্বের পাহাড়ি অঞ্চলে চিনা সীমান্তের খুব কাছে তৈরি হবে এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি। 'ন্যাশনাল হাইড্রোইলেক্ট্রিসিটি পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড' এই প্রকল্প তৈরির দায়িত্বে থাকবে।
1/4অরুণাচলপ্রদেশের লোওয়ার দিবাং উপত্যকায় দিবাং নদীর ওপর তৈরি হবে এই বাঁধ বা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। এর থেকে ২৮৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বছরে। এই প্রকল্পটি তৈরি করতে মোট ৩১৯ বিলিয়ন টাকা লাগবে। মোট নয় বছর লাগবে এই বাঁধটি নির্মাণ করতে। এর আগে তিব্বতে ভারতীয় সীমান্তের খুব কাছেই চিনও বেশ কয়েকটি বাঁধ তৈরি করে ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ বদলের পথ তৈরি করেছে। এই আবহে এবার ভারতও চিনা সীমান্তের এত কাছে একটি বাঁধ তৈরির সিদ্ধান্ত নিল। প্রতীকী ছবি
2/4ভূগর্ভস্থ ভিতের ওপর ২৭৮ মিটার লম্বা বাঁধ তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে দিবাং নদীর ওপর। বাঁধটি কংক্রিটের হবে। এই বাঁধটি ঘোড়ার খুরের আকারে তৈরি করা হবে। ৩০০ থেকে ৬০০ মিটার দীর্ঘ এবং ৯ মিটার ব্যাসের টানেল থাকবে এই বাঁধের নীচে। এই বাঁধের নীচে ভূগর্ভস্থ একটি পাওয়ার হাউজ থাকবে। জলের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে সেখান থেকেই বিদ্যুৎ তৈরি হবে। প্রতীকী ছবি
3/4বাঁধের মূল লক্ষ্য হবে সেই অঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জল ধারণ এবং বিদ্যাৎ উৎপাদন। এই ২৭৮ মিটার লম্বা বাঁধটি তৈরি হয়ে গেলে সেটি ভারতের সবচেয়ে উঁচু বাঁধ হবে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি নির্মিত হলে অরুণাচলপ্রদেশ সরকার এই নির্মাণকাজে খরচ হওয়া অর্থের ১২ শতাংশ পাবে। এদিকে এই অঞ্চলের আদিবাসীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় এবং তাদের ঐতিহ্য যাতে অক্ষত থাকে, তার জন্য সরকারের তরফে ২৪১ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতীকী ছবি
4/4প্রতিবেশী চিন তিব্বত অঞ্চলে অরুণাচল সীমান্তের গা ঘেঁষে বেশ কয়েকটি গ্রাম তৈরি করেছে। সেই গ্রামের উন্নয়নের নামে সেখানে পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে। এই সব করে ভারতের সীমান্তে নজরদারি চালানোর ছক কষছে চিন। বিগত দিনে লাদাখ ও অরুণাচলে চিনা আগ্রাসনের সাক্ষী থেকেছে ভারতবাসী। এই নিয়ে ঘরোয়া রাজনীতিতেও বেশ চাপে আছে মোদী সরকার। এই আবহে চিনকে একপ্রকার জবাব দিতেই এই নয়া প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হল বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষকই। প্রতীকী ছবি