বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে শিশুদের পর্ন আপলোড করার দিক দিয়ে লজ্জাজনক ভাবে এগিয়ে রয়েছে বলে দাবি করা হল মার্কিন এক রিপোর্টে। মার্কিন সংগঠন - 'ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিল্ড্রেন'-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ শিশুদের পর্ন শেয়ার করে বেরিয়েছেন।
1/5ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিল্ড্রেনের তথ্য থেকে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ বেশ কিছু কেস চিহ্নিত করেছে। জানা গিয়েছে, শিশু পর্ন ছড়িয়ে দেওয়ার অন্তত পক্ষে ৪ হাজার কেস চিহ্নিত করে সেগুলির ওপর তদন্ত চালাতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। এদিকে মার্কিন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী আরও ২৬ হাজার কেস চিহ্নিত করার কাজ করছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ১০টি জেলায় পাঠানো হয়েছে অভিযুক্তদের তালিকা। তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করার জন্য বলা হয়েছে সাইবার সেলের তরফে।
2/5 ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিল্ড্রেনের তথ্য অনুযায়ী, শিশুদের পর্ন আপলোডের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইন্দোর। সেই শহর থেকে শিশুদের ২০০০ পর্ন আপলোড বা শেয়ার করা হয়েছে। এরপরই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের রাজধানী ভোপাল। সেই শহরে ১০০০ এই ধরনের কেস রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে মার্কিন সংগঠনের রিপোর্টে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখছে।
3/5গোয়ালিয়র, জবলপুরের মতো শহরেও শিশুদের পর্ন শেয়ারের ক্ষেত্রে তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে। এই শহর থেকে ৫০০ থেকে ৬০০টির মতো এই ধরনের কেস শনাক্ত করা হয়েছে রিপোর্টে। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত যে ৪০০০ কেস চিহ্নিত করা গিয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য এবং আইপি অ্যাডরেস সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ সুপারকে পাঠিয়েছে সাইবার ক্রাইম দফতর।
4/5এর আগে মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ৩৫০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় সেই গ্রেফতারির সংখ্যা ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এভাবে একসঙ্গে এতজনকে গ্রেফতার করা বেশ কঠিন হবে। তবে পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ রুখতে তারা পদক্ষেপ করে।
5/5এদিকে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, শিশুদের যে সব পর্ন ভিডিয়ো আপলোড বা শেয়ার হয়েছে, তাতে কোনও মেয়েই মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা নয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই এই শিশুদের পর্নগুলি বিদেশি মেয়েদের। তবে এর মধ্যে কিছু কিছু ভিডিয়োকে 'ভুল' ভাবে ফ্ল্যাগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এক পুলিশ কর্তা জানান, রিপোর্টে উল্লেখিত একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে একজন মা তার সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন। এই ভিডিয়োর ক্ষেত্রে আমরা কোনও পদক্ষেপ করব না।