সম্প্রতি ভারতে অবস্থিত বিবিসির দফতরে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা 'সমীক্ষা' চালিয়েছিলেন। যা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কারণ, এই সমীক্ষার কয়েকদিন আগেই নরেন্দ্র মোদীর ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল বিবিসি। গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন গুজরাটি মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সেই তথ্যচিত্র ভারতে একপ্রকার নিষিদ্ধ। এই ইস্যুতে এবার লন্ডনে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী।
1/5লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় রাহুল গান্ধী বিবিসি ইস্যুটি তুলে ধরেন। বলেন, 'ভারতে যেভাবে কণ্ঠরোধ চলছে, বিবিসির ঘটনা সেটারই উদাহরণ। এটার সঙ্গে আদানির ঘটনারও মিল রয়েছে। এটা কতকটা ঔপনিবেশিক।' উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে তোলপাড় হয়েছে দেশের রাজনীতি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনগুলি এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করলে তা নিয়েও অশান্তি হয়েছে। (PTI)
2/5এই আবহে রাহুল গান্ধীকে বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের সমীক্ষা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'যেখানেই দেশে বিরোধের সুর শোনা গিয়েছে, সেখানেই একটা অজুহাতও গড়ে উঠেছে। আমি যে যাত্রাটি করেছিলাম, সেটা মুক্তকণ্ঠকে উৎসাহিত করার জন্য ছিল. কারণ দেশে সর্বত্র কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। এরই এক উদাহরণ হল বিবিসি।' রাহুল গান্ধী বলেন, 'বিবিসি যদি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা বন্ধ করে দেয়, তাহলে সব আমার আগের জায়গায় ফিরে যাবে। সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।' (PTI)
3/5কংগ্রেস নেতা বলেন, 'কণ্ঠরোধ করার এই প্রবণতা গত ৯ বছর ধরে অনবরত চলছে। সাংবাদিকদের ধমকি দেওয়া হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি এই সরকারের থেকে অন্য কিছু আশা করি না। বিবিসি আজ যদি সরকার বিরোধী খবর পরিবেশন বন্ধ করে দেয়, তাহলে সব আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এটাই নতুন ভারতের ধারণা। বিজেপি ভারতকে বাকরুদ্ধ করে রাখতে চায়। বিজেপি ভারতের জনগণকে চুপ রাখতে চায় যাতে সেই সুযোগে তারা দেশের সব সম্পদ তাদের বন্ধুদের হস্তগত করতে পারে।' (PTI)
4/5এরপর মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরোস নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাহুল গান্ধী সোজাসাপ্টা জবাব, 'সোরোসের দৃষ্টিভঙ্গিতে আমার কিছু যায় আসে না।' উল্লেখ্য, 'মোদী বিরোধী' হিসেবে বিবেচিত জর্জ সোরোস বিগত বেশ কয়েক বছরে একাধিক ইস্যুতে ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সিএএ ইস্যুতে তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছিলেন। আর এবার আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতেও সরব হয়েছেন তিনি। এই আবহে রাহুল গান্ধী সোরোস প্রসঙ্গে বলেন, 'জর্জ সোরোসের নিজের দৃষ্টিভঙ্গি থাকতেই পারে। তবে আমার তাতে কোনও আগ্রহ নেই। আমি তো নিজে চোখেই দেখতে পাচ্ছি যে ভারতে কী হচ্ছে।' (PTI)
5/5রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমি দেখেছি কীভাবে তিন বছরে বিশ্বের ৬০৯তম ধনী ব্যক্তি থেকে দ্বীতয় ধনীতম ব্যক্তি হয়ে ওঠেন গৌতম আদানি। আমি দেখেছি যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করা হয়েছে। আমি দেখেছি যে ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তাই জর্জ সোরোসকে আমাদের এসব বলতে হবে না। আমরা নিজেরাই দেখতে পাই যে কী ঘটছে।' উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোরোস বলেছিলেন, 'আদানি কাণ্ডের জেরে মোদীর প্রভাব কমবে। ভারতের গণতন্ত্রে একটি নবজাগরণের সূচনা হবে।' (PTI)