North Bengal Lobby Dr SP Das: 'CM-র চিকিৎসক বলে...', মমতার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন 'উত্তরবঙ্গ লবির মাথা' এসপি দাস

Updated: 17 Sep 2024, 10:00 AM IST Abhijit Chowdhury

আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই 'উত্তরবঙ্গ লবি' নিয়ে নানান অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। এর আগেও 'উত্তরবঙ্গ লবি' নিয়ে বারবার অভিযোগ সামনে এসেছিল চিকিৎসক মহলে। তবে আরজি করে তরুণী পিজিটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর সেই অভিযোগ যেন ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। আর এই আবহে এবার মুখ খুলেছেন সেই বহুল আলোচিত ডঃ এসপি দাস।

1/6আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই 'উত্তরবঙ্গ লবি' নিয়ে নানান অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। এর আগেও 'উত্তরবঙ্গ লবি' নিয়ে বারবার অভিযোগ সামনে এসেছিল চিকিৎসক মহলে। তবে আরজি করে তরুণী পিজিটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর সেই অভিযোগ যেন ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। আর এই আবহে এবার মুখ খুলেছেন সেই বহুল আলোচিত ডঃ এসপি দাস।

2/6আনন্দবাজার পত্রিকার কাছে নাকি এসপি দাস দাবি করেছেন, তিনি আর 'কোনও কিছুর মধ্যে' থাকতে চান না। প্রসঙ্গত, অস্থি-শল্য চিকিৎসক এই শ্যামাপদ দাসকে নিয়েই চিকিৎসক মহলে দাবি, রাজ্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার 'অলিখিত অভিভাবক' হয়ে গিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, তথাকথিত উত্তরবঙ্গ লবির কথা না শুনলেই নাকি সরকারি পদে থাকা চিকিৎসকদের মাথার ওপর নেমে আসত শাস্তিমূলক বদলির খাড়া। যদিও এই সবের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসপি দাস।

3/6তবে ডঃ এসপি দাসের বক্তব্য, 'মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক বলে হয়তো অনেক সময় কারও কোনও অনুরোধ থাকলে, সেটা জানাতাম। কিন্তু সব কিছু তো আমি করতে পারি না।' তবে তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসক মহলে অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা করেন, এই পরিচিতি ভাঙিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রভাব বিস্তার করেছেন এসপি দাস। যদিও তিনি নিজে নাকি কখনও কোনও সরকারি চাকরি করেননি কিংবা কোনও সরকারি পদও সামলাননি।

4/6এদিকে মমতার সঙ্গে ১৯৮১ সাল থেকে এসপি দাসের পরিচয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তিনি দাবি করেন, ১৯৮১ সালে জেনারেল প্র্যাকটিশনার হিসেবে কালীঘাটের ওষুধের দোকানে চেম্বারে বসতেন তিনি। সেই সময় ছাত্রনেত্রী থাকাকালীন গোড়ালি মচকে যাওয়ায় তাঁর কাছে গিয়েছিলেন মমতা। আর তারপর থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মমতার পারিবারি চিকিৎসক। পরে ১৯৯০ সালে তিনি অস্থি-শল্য চিকিৎসকের ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। এই আবহে মমতার বিভিন্ন চোটের চিকিৎসা তিনি করেছেন।

5/6এদিকে এসপি দাসকে নিয়ে অভিযোগ, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে তাঁর বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় তাঁর। উত্তরবঙ্গ লবির নামে রীতিমতো সিন্ডিকেট তৈরি হয় রাজ্যে। এরপর কোভিডেক সময় এই গোষ্ঠীর প্রভাব আরও বেড়ে যায়। এদিকে আরজি কর থেকে সন্দীপের পদত্যাগের ৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের নেপথ্যেও এসপি দাসের প্রভাব রয়েছে বলে অনুমান অনেকের। তবে এসপি দাসের দাবি, সন্দীপ এবং তিনি দু’জনেই অস্থি-শল্য চিকিৎসক হওয়ায় একই সংগঠনের সদস্য। এর বাইরে নাকি তাঁদের কোনও পরিচয় নেই।

6/6এদিকে এসপি দাসের বক্তব্য, 'কে আমার নাম নিয়ে কোথায় কী করছেন, সব জানা সম্ভব নয়। এক জন পেশাদার চিকিৎসক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা করা নিশ্চয় আমার অন্যায় নয়।' তবে তিনি মেনে নেন তৃণমূল চিকিৎসক-বিধায়ক সুদীপ্ত রায়কে তিনি চিনতেন। এদিকে জলপাইগুড়ির আইএমএ শাখার প্রাক্তন সভাপতি সুশান্ত রায়কেও তিনি চেনেন। এই সুশান্তের মাধ্যমে অভীক দে-র সঙ্গেও আলাপ হয়েছিল এসপি দাসের। তবে বিরূপাক্ষকে তিনি কোনও দিন দেখেননি বলে দাবি এসপি দাসের। এদিকে অভীকদের নিয়ে এসপি দাসের বক্তব্য, 'যখন এত অভিযোগ উঠছে, তখন নিশ্চয় কিছু করেছেন। হয়তো এমন কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন, যা করা উচিত হয়নি।'

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

North Bengal Lobby Dr SP Das: 'CM-র চিকিৎসক বলে...', মমতার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন 'উত্তরবঙ্গ লবির মাথা' এসপি দাস

Latest News

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি