২০০৪ সালের ১ জানুয়ারির পরে যে সকল কর্মীরা সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন, তাঁদের জন্য পুরোনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার ভাবনা চিন্তা শুরু করল পঞ্জাব সরকার। এর আগে ছত্তিশগড়, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য পুরোনো পেনশন স্কিম চালু করার কথা ঘোষণা করেছিল।
1/5২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পুরনো পেনশন প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। চালু হয়েছিল ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। তবে কোনও রাজ্যে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম চালু করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্টি রাজ্য সরকার। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay)
2/5এই আবহে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান একটি টুইট করে লেখেন, ‘আমার সরকার পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে। আমি আমার মুখ্য সচিবকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি। পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সম্ভাব্য বিষয়ে খতিয়ে দেখে এর পদ্ধতি যাচাই করে দেখবেন তিনি। আমরা আমাদের কর্মীদের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ (ছবিটি প্রতীকী)
3/5২০০৪ সালে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস) চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর চাকরি শুরু করেছেন, তাঁরা নয়া পেনশন কাঠামোর আওতায় পড়েন। এনপিএসের আওতায় প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে একটি 'পার্মানেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর' দেওয়া হয়। বাধ্যতামূলকভাবে বেতনের ১০ শতাংশ অর্থ দিতে হয় তাঁদের। সেইসঙ্গে সরকারও অর্থ প্রদান করে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
4/5অবসরের পর সেই জমানো অর্থের ৬০ শতাংশ একলপ্তে তুলতে পারবেন কর্মচারীরা। সরকারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রিত এবং নথিভুক্ত বিমা সংস্থা থেকে অ্যানুইটি কেনার জন্য তাঁকে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। সেই অ্যানুইটির উপর যে সুদ পাওয়া যায়, তাই মাসিক পেনশন হিসেবে পাবেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। অর্থাত্ নয়া পেনশন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাজারের অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
5/5কত টাকা জমানো হয়েছে, কত বছরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কী ধরনের বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিনিয়োগ থেকে কত আয় হয়েছে - এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর নয়া পেনশন প্রকল্প নির্ভর করে। সেখানে পুরনো ব্যবস্থায় শেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়। যা নির্ধারিত ছিল। সেইসঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে। সেই পরিস্থিতিতে একাংশের বক্তব্য, পুরনো পেনশন প্রকল্পে কোনও ঝুঁকি নেই। নয়া পেনশন প্রকল্পে ঝুঁকি আছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)