গ্রেফতার হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর এরপরই সেই দেশে শুরু হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতানো ক্রিকেটার বন্দি হতেই তাঁর সমর্থকরা রাস্তায় নেমে তাণ্ডব চালাতে শুর করেন। হামলা করা হয় পাক সেনা কমান্ডারদের বাড়িতে। হিংসায় এখনও পর্যন্ত সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
1/5ইমরানের গ্রেফতারির প্রতিবাদে তাঁর উন্মত্ত অনুরাগীরা সেনার সদর দফতরে হামলা চালান। এছাড়াও আরও একাধিক শহরে উন্মত্ত জনতা হামলা চালান পাক সেনা আধিকারিকদের বাড়িতে। পাকিস্তানের কোয়েটাতে সেনা এবং পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে পঞ্জাব প্রদেশের ফয়সলাবাদেও সেনা ও ইমরানের অনুগামীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২ যুবকের। (AFP)
2/5বালোচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় বিক্ষোভকারী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর পাশাপাশি পাঁচজন গুরুতর জখম হয়েছেন। এছাড়া ফয়সলাবাদ, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরেও একই ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সেই সব শহরে প্রায় ১৫ জন গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে পাক মিডিয়ার তরফে। এইসব শহরে পুলিশ বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। (AFP)
3/5ইমরান খানের ৪ হাজার সমর্থক লাহোরে শীর্ষ আঞ্চলিক কমান্ডারের অফিসিয়াল বাসভবনে হামলা চালায়। সেই ভবনের জানালা ও দরজা ভেঙে দেওয়া হয়। আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। সেখানে সহিংসতা এড়াতে পিছু হটে যায় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। তবে সেখানে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় এবং শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে। (AFP)
4/5বিক্ষোভকারীরা রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরেও হামলা চালায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতরের প্রধান ফটকও ভেঙে ফেলা হয়। তবে আম জনতার বিরুদ্ধে সেনা গুলি চালায়নি। সংযত থেকেই তারা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছেন। এই আবহে ইমরান খানের অনুগামীরা সেনার সদর দফতরে ঢুকে বিভিন্ন ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শত শত বিক্ষোভকারী ইমরানপন্থী স্লোগান দিতে থাকেন। (AFP)
5/5এদিকে পঞ্জাব প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত সরকার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে রেঞ্জার্সকে মোতায়েন করেছে। পঞ্জাব প্রদেশ জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। একইসঙ্গে যে সকল জায়গায় হিংসা ছড়িয়েছে, সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে ইসলামাবাদেও জারি হয়েছে কার্ফু। দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে আজ। (AFP)