‘রেশম ঝাঁপি’, ‘কুঞ্জছায়া’, ‘আমি সিরাজের বেগমে’র মতো ধারাবাহিকের অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃতদেহ পাওয়া গেল তাঁর গরফার ফ্ল্যাটে। তবে পল্লবী একা নন, আরও কয়েক জন বাঙালি অভিনেত্রীর মৃত্যু নিয়ে এখনও রয়ে গিয়েছে রহস্য।
1/9রবিবার খবর পাওয়া গেল বাংলা ধারাবাহিক এবং ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে আর নেই। এখনও তাঁর মৃত্য নিয়ে রহস্যের জট কাটেনি। কিন্তু এই প্রথম বার নয়, এর আগেও বাংলা বিনোদন জগতে এমন ঘটনা ঘটেছে। অভিনেত্রীদের মৃত্যু নিয়ে বহু রহস্যের জট এখনও কাটেনি। এমনই কয়েক জন অভিনেত্রীর রসহস্যময় মৃত্যুর তালিকা রইল এখানে।
2/9বিতস্তা সাহা: ২০১৭ সালে গরফায় নিজের ফ্ল্যাটে মৃতদেহ পাওয়া যায় এই বাঙালি অভিনেত্রীর। মাঝবয়সি এক ব্যক্তির প্রেমে পড়ে ঘর ছেড়েছিলেন উঠতি নায়িকা। যদিও যোগাযোগ ছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে। তার পরেই এই ঘটনা।
3/9আর্যা বন্দ্যোপাধ্যায়: ২০২০ সালে যোধপুর পার্কে অভিনেত্রীর বাড়ির দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ঘরে বিছানার উপর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন এই বাঙালি অভিনেত্রী। ‘লভ সেক্স অউর ধোঁকা’, বিদ্যা বালানের ‘ডার্টি পিকচার’-সহ আরও কয়েকটি ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর জনপ্রিয় টিভি শো ‘সাবধান ইন্ডিয়া’-তেও অভিনয় করেছিলেন তিনি।
4/9প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়: জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘বালিকা-বধূ’তে প্রথম আত্মপ্রকাশ প্রত্যুষা। শুরু থেকেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যু নিয়ে এখনও রয়ে গিয়েছে নানা রহস্য।
5/9পায়েল চক্রবর্তী: ২০১৮ সালে শিলিগুড়ির একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তী দেহ। বেলা গড়িয়ে গেলেও ঘর থেকে বেরোতে দেখা যায়নি তাঁকে। তখন হোটেল থেকে থানায় ফোন করা হয়। পুলিশ এসে দরজা ভাঙে। তখনই দেহ উদ্ধার হয়।
6/9পূজা আইচ: বিভিন্ন ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতেন পূজা। ২০১৬ সালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর।
7/9দিশা গঙ্গোপাধ্যায়: ‘বউ কথা কও’-এর রঞ্জনা অর্থাৎ দিশাকে ভুলতে পারেননি বাংলা ছোটপর্দার দর্শক। ২০১৫ সালে মৃত্যু হয় এই অভিনেত্রীর। পর্ণশ্রীর বনমালী নস্কর রোডের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় তাঁর দেহ।
8/9মহুয়া রায়চৌধুরী: ১৯৮৫ সালে মারা যান বিখ্যাত অভিনেত্রী। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁকে। আজও তাঁর মৃত্যু নিয়ে নানা রহস্য রয়েছে।
9/9অনুভা গুপ্ত: ১৯৭২ সালে কলকাতার এখ হাসপাতালে মৃত্যু হয় অনুভার। বলা হয়েছিল, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ থেকে মৃত্যু। কিন্তু অনেকেরই ধারণা, এর পিছনে রহস্য ছিল। এমনকী সেই সময়কার কয়েক জন নার্স গোপনে সংবাদমাধ্যমের কাউকে কাউকে জানিয়েছিলেন, তাঁর মাথায় নাকি শিলনোড়ার আঘাতের চিহ্ন ছিল। যদিও এটিকে অপবাদ বলেও উড়িয়ে দেন অনেকে।
