সম্প্রতি রাজস্থানে সকল সরকারি কর্মীকে পুরনো পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনার ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাত্ যাঁরা ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাও পুরনো পেনশন প্রকল্পের আওতায় আসবেন। তারপর সারা দেশের সরকারি কর্মীদের নয়া পেনশন প্রকল্পের পরিবর্তে পুরনো পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনার দাবি তুলেছে। সেই পরিস্থিতিতে জেনে নিন, পুরনো পেনশন চালু হলে লাভবান হবেন কর্মীরা নাকি এনপিএসই ভালো?
1/5ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস) কী? ২০০৪ সালে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস) চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর চাকরি শুরু করেছেন, তাঁরা নয়া পেনশন কাঠামোর আওতায় পড়েন। তবে কোনও রাজ্যে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম চালু করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্টি রাজ্য সরকার। (ছবিটি প্রতীকী)
2/5এনপিএসের আওতায় প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে একটি 'পার্মানেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর' দেওয়া হয়। বাধ্যতামূলকভাবে বেতনের ১০ শতাংশ অর্থ দিতে হয় তাঁদের। সেইসঙ্গে সরকারও অর্থ প্রদান করে। আগে যা ছিল ১০ শতাংশ। ২০১৯ সালে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী)
3/5এনপিএস: অবসরের পর সেই জমানো অর্থের ৬০ শতাংশ একলপ্তে তুলতে পারবেন কর্মচারীরা। সরকারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রিত এবং নথিভুক্ত বিমা সংস্থা থেকে অ্যানুইটি কেনার জন্য তাঁকে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। সেই অ্যানুইটির উপর যে সুদ পাওয়া যায়, তাই মাসিক পেনশন হিসেবে পাবেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। অর্থাত্ নয়া পেনশন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাজারের অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়। (ছবিটি প্রতীকী)
4/5পুরনো এবং নয়া পেনশন প্রকল্পের মধ্যে কী পার্থক্য আছে? কত টাকা জমানো হয়েছে, কত বছরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কী ধরনের বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিনিয়োগ থেকে কত আয় হয়েছে - এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর নয়া পেনশন প্রকল্প নির্ভর করে। সেখানে পুরনো ব্যবস্থায় শেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়। যা নির্ধারিত ছিল। সেইসঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে। (ছবিটি প্রতীকী)
5/5সেই পরিস্থিতিতে একাংশের বক্তব্য, পুরনো পেনশন প্রকল্পে কোনও ঝুঁকি নেই। নয়া পেনশন প্রকল্পে ঝুঁকি আছে। যদিও অপর অংশের বক্তব্য, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম যে বাজার-নির্ভর, তা ঠিক। কিন্তু দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে তাতে বেশি লাভবান হবেন কর্মীরা। (ছবিটি প্রতীকী)