ব্যক্তিগত ঋণ পেতে ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনেক নথি জমা দিতে হয়। ব্যক্তিগত ঋণের বদলে সাধারণত কোনও সম্পত্তি, জমি বা অন্য কিছু বন্ধক রাখতে হয় না বলে এটিকে ‘অসুরক্ষিত ঋণ’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবহে ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যাঙ্কের তরফে অনেক নথি চাওয়া হয়। এর মধ্যেই অন্যতম হল আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত নথি।
1/5যেকোনও ঋণের আবেদন মঞ্জুর করার আগে ব্যাঙ্কের তরফে দেখা হয়, ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন কিনা। সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতেই আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয় ঋণ আবেদনের ক্ষেত্রে। কারণ সেই নথিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আয়-ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকে বিশদে।
2/5সাধারণত অধিকাংশ চাকরিজীবী আয়কর রিটার্ন ফাইল করে থাকেন। এই আবহে আয়কর রিটার্ন ফাইল না করা ব্যবয়াসিকের তুলনায় চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ঋণ পাওয়া বেশি সহজ।
3/5তবে এক মানে এই না যে যাঁরা ব্যবসা করেন বা ফ্রিলান্স করেন তাঁরা ব্যক্তিগত ঋণ পাওয়ার যোগ্য নন। বা বিষয়টা এমনও না যে আইটিআর দাখিল করা থাকলেই শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে।
4/5অনেকেই জানেন না যে আইটিআর দাখিল করা ছাড়াও ব্যক্তিগত ঋণ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে কোনও জমি, সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয় ন। তবে আইটিআর ফাইল না করা কোনও ব্যবসায়ী যদি ব্যক্তিগত ঋণ নিতে চান, তাহলে তিনি নিজের সম্পত্তি বন্ধক রাখতে পারেন।
5/5এদিকে ক্রেডিট স্কোর খুব ভালো হলে আইটিআর দাখিল করা ছাড়াও ব্যক্তিগত ঋণ পাওয়া সম্ভব। ক্রেডিট কার্ড থাকলে তার লেনদেনের তথ্য দাখিল করা যেতে পারে ব্যাঙ্কের কাছে। তবে খারাপ ক্রেডিট স্কোর হলে আপনার ঋণের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদি ঋণের আবেদন মঞ্জুরও হয়, সেক্ষেত্রে সুদের হার চড়া হবে।