কেন্দ্রীয় জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদিপ সিং পুরী তেল সংস্থাগুলির উদ্দেশে এক বড় বার্তা দিয়েছেন। তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলিকে হরদীপ সিং পুরীর নির্দেশ, যদি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যায় এবং সংস্থার লোকসান কমে গিয়ে থাকে, তাহলে যেন খুচরো বাজারে তেলের দাম কমিয়ে ফেলা হয়।
1/5গতকাল গঙ্গাবক্ষে সিএনজি চালিত একটি বোট রেসে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পরদীপ সিং পুরী। বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ইন্ডিয়া এনার্জি উইকের প্রাক্কালে এই বোট রেসের আয়োজন করা হয়। আগামী মাসে দক্ষিণী শহরে আয়োজিত হবে এনার্জি উইকের। সেখানেই হরদীপ পুরী বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলে এবং সংস্থাগুলি যদি তাদের লোকসান কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়ে থাকে, তাহলে খুচরো বাজারে তাদের পেট্রোল, ডিজেলের দাম কমিয়ে দেওয়া উচিৎ।' (REUTERS)
2/5উল্লেখ্য, এর আগে কেনা দাম থেকে কম দামে দেশে খুচরো জ্বালানি বিক্রি করে তেল বিপণনী সংস্থাগুলি ২১ হাজার কোটি টাকার লোকসানের সম্মুখীন হয়েছিল। এমনিতে, তেল সংস্থাগুলি নিজেদের পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে পারে। তবে এতে রাজনীতির এক বড় অবদান রয়েছে। এই আবহে বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারতের বড় বড় শহরগুলিতে তেলের দাম অপরিবর্তিত থেকেছে। (REUTERS)
3/5এদিকে ভারতীয় সংস্থাগুলি বিভিন্ন রেটে বিগত দিনে অপরিশোধিত তেল কিনেছে বা আমদানি করেছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, বিভিন্ন রেটে জ্বালানি আমদানি করলেও ঘরোয়া খুচরো বাজারে পেট্রোল, ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত থেকেছে। এদিকে পেট্রোল, ডিজেলের দাম স্থিতিশীল থাকার কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'কর ছাড়ের কারণেই পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পায়নি দেশে।' উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বর এবং ২০২২ সালের মে মাসে দু'বার জ্বালানির ওপর ধার্য কর পরিবর্তন করেছে কেন্দ্র। (REUTERS)
4/5এদিকে গতবছর মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছুঁয়েছিল ১৩৯ ডলার। সেই দাম এখন নেমে ৮৮ ডলার হয়েছে। এদিকে রাশিয়ার থেকে ভারত জ্বালানি আমদানি বৃদ্ধি করেছে গতবছর থেকেই। মনে করা হচ্ছে ব্রেন্ট ক্রুডের থেকে কম রেটেই রাশিয়া থেকে তেল কিনছে ভারতীয় সংস্থাগুলি। এই আবহে এখনও কেন খুচরো বাজারে পেট্রোল, ডিজেলের দাম কমল না? মন্ত্রীর কথায়, 'আগের লোকসান এখনও পূরণ হয়নি। তাই সংস্থাগুলি তেলের দাম কমাতে পারছে না।' (REUTERS)
5/5এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্বালানি সংস্থার কর্তা জানান, পেট্রোল বিক্রিতে সংস্থা লাভ দেখলেও তা এখনও কম। এদিকে ডিজেলে এখনও লোকসানের মুখেই পড়তে হচ্ছে সংস্থাগুলিকে। তবে আগামী দিনে চলতি ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রকাশ করা হলে জ্বালানি সংস্থাগুলির হাল হকিকত বোঝা ঝাবে স্পষ্ট ভাবে। (REUTERS)