Photo Gallery: ইটাহারে আগুনে ছাই হয়ে গেল ১৬টি বাড়ি, সব হারানোর বুকফাটা কান্না

Updated: 09 Apr 2023, 08:40 PM IST Satyen Pal

চোখের সামনে আগুন গিলে খেল পরপর বাড়ি। তিল তিল করে জমানো টাকা, সোনার গয়না সব শেষ।

1/5ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গেল একের পর কাঁচাবাড়ি। ইটাহার ব্লকের সুরুন ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়িওলঘাট এলাকায় ভয়াবহ ঘটনা। রবিবার দুপুরে পুড়ে খাক হয়ে গেল একের পর এক বাড়ি। কার্যত সব হারিয়ে পথে বসে গেলেন গ্রামের একাধিক বাসিন্দা। দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু তার আগেই পুড়ে শেষ হয়ে গেল সব কিছু। অন্তত ৫জন শিশু এই আগুনে জখম হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

2/5রায়গঞ্জ থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই কার্যত সব শেষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্তত ১৬টি বাড়ি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কোনও একটি বাড়ির রান্নাঘরের উনুন থেকে আগুন লেগেছিল। এরপর তা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রথমে পশিরুদ্দিন আহমেদের বাড়িতে আগুনের শিখা দেখতে পাওয়া যায়। তারপরই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। একে প্রচন্ড রোদ। তার উপর বেড়ার ঘর। স্থানীয়রাই প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই ঘরের মধ্যে যা ছিল সবেতে আগুন ধরে যায়।

3/5দুটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। তাতে আচমকা বিস্ফোরণ হয়। তখনই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন রায়গঞ্জ থেকে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে এদিন ঘরের মধ্যে থাকা নগদ টাকা, আসবাবপত্র, ধান, চাল সহ সর্বস্ব পুড়ে গিয়েছে। লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে গিয়েছে। ১৬টি পরিবারে একেবারে রাস্তায় বসে গিয়েছে।

4/5স্থানীয় বাসিন্দারা যে যেমন পারেন জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই দাউ দাউ করে সব জ্বলে যায়। তীব্র হাহাকারে ভারী হয় ইটাহারের বাতাস। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর জন্য় আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু চোখের সামনে সব শেষ হয়ে গেল।

5/5স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সাড়ে ১১টা নাগাদ দেখলাম আচমকা আগুন একটি বাড়ি থেকে। এরপর দমকলে ফোন করি। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়। দুলক্ষ টাকা, সোনার গয়না যা ছিল সব আগুন পুড়ে গিয়েছে। ১৬টি বাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছে। কোনওভাবে রক্ষা করা যায়নি। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের পাশে দাঁড়ান। আমরা সব হারিয়ে পথে বসে গিয়েছি।