দোল এলেই কি মন পালাই পালাই করে? তবে চলে যান পুরুলিয়া। অযোধ্যার বুক জুড়ে আজ পলাশের মায়া।শুরু হচ্ছে পলাশ পরব। …পলাশের বন, পালাব পালাব মন…
1/6এবার দোলে কোথায় যাওয়ার কথা ভাবছেন? শান্তিনিকেতন কিংবা মায়াপুর তো আগেও গিয়েছেন। এবার দোলে যেতে পারেন পলাশের দেশে। শুধু পলাশকে কেন্দ্র করেই আস্ত একটা উৎসব হয় বাংলার এই জেলাতে। নাম পলাশ পরব। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় যখন পলাশে পলাশে রাঙা হয়ে ওঠে তখনই শুরু হয় পলাশ পরব। অনেকটা বসন্ত উৎসবের ধাঁচে। তবে লাল পলাশের দেশে এই উৎসব একেবারেই অন্যরকম। সংগৃহীত ছবি
2/6৭ ও ৮ মার্চ এই দুদিন অযোধ্যা পাহাড়ে আয়োজন করা হচ্ছে পলাশ উৎসব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা কবি সাহিত্যিকদের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এই পলাশ উৎসব। অনেকেরই পুরুলিয়ার সঙ্গে নাড়ির টান রয়েছে। সেই আবেগ যেন নতুন করে ফিরে আসে এই পলাশ পরবের মাধ্যমে। সংগৃহীত ছবি
3/6৭ মার্চ প্রভাত ফেরি দিয়ে উৎসবের সূচনা। এরপর রবীন্দ্র সংগীত, রবীন্দ্র নৃত্যের মাধ্যমে বসন্ত বরণ। পুরুলিয়ার লোকগান, ঝুমুর গানে মন ভরবে আপনার। সাঁওতালি নৃত্য, ছৌনাচ, নাচনি সহ লোকসংস্কৃতির নানা আঙ্গিকের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন আপনি। এর সঙ্গেই যদি শখ থাকে মহুয়াতে মন মজাতে পারেন আপনি। সংগৃহীত ছবি
4/6শহরের কংক্রিটের জঙ্গল পেরিয়ে দুচোখ ভরে দেখুন পুরুলিয়ার পলাশ। আদি, অকৃত্রিম। যদি মনে হয় ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে হারিয়ে যাবেন এই পলাশ বনে তবে এর চেয়ে ভালো সময় আর কিছু হয় না। ছবি সৌজন্য জনার্দন মাহাতো।
5/6হাওড়া থেকে ট্রেনে পুরুলিয়া বা বরাভুমে নেমে সেখান থেকে বাসে অযোধ্যা পাহাড়। একাধিক সরকারি বেসরকারি হোটেল, রিসর্ট রয়েছে। অনুষ্ঠানের আয়োজক জনার্দন মাহাতো, অভিমূন্য মাহাতো জানিয়েছেন, আমরা চাই গোটা বিশ্বের মানুষ দুচোখ ভরে দেখুন এই পলাশের মায়া। নতুন করে চিনুন পুুরুলিয়াকে।
6/6এর সঙ্গেই বামনি ঝরনা, আপার ড্যাম, লোয়ার ড্যাম, চরিদার মুখোশ গ্রামেও ঘুরে আসতে পারেন। অন্য ভাবে এবার দোলের দুদিন কাটিয়ে দিন। যে স্মৃতি নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তা এককথায় অনন্য। পুরুলিয়া থেকে ফিরে এসে শহুরে ব্যস্ততার মাঝে একবার দুচোখ বুজে ভাবুন পুরুলিয়ার কথা। দেখবেন চোখের সামনে সেই স্বপ্নের পলাশ বন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সংগৃহীত ছবি