1/5দোল এলেই পলাশের খোঁজ পড়ে। গাছে গাছে রাঙা পলাশ মানেই বসন্ত এসে গেছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার একাংশে পলাশে পলাশে রাঙা হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। তবে আমরা যে রাঙা পলাশ দেখে অভ্যস্ত তার বাইরেও অন্য রঙের পলাশও রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল শ্বেত পলাশ। আর সেই সাদা পলাশ নিয়ে একেবারে হইচই কাণ্ড পুরুলিয়ায়।
2/5অনেকেই বলছেন এই শ্বেতপলাশ একেবারেই বিরল। বিশেষ দেখা যায় না। পুরুলিয়ার হুড়ার একটি গ্রামে খোঁজ মিলেছে সেই শ্বেত পলাশ গাছের। প্রথম দিকে ব্য়াপারটি স্থানীয়রা কেউ জানতেন না। এমনকী যার জমিতে গাছটি রয়েছে তিনিও এব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন না। এদিকে সেই বিরল শ্বেত পলাশের গাছের ইজারার দর উঠেছে প্রায় ৮০ লাখ টাকা। কলকাতার এক বাসিন্দা এই দর দেবেন বলে গাছের মালিককে জানিয়েছেন। সংগৃহীত প্রতীকী ছবি
3/5সেই শ্বেতপলাশ দেখতে এখন খুঁজে ফুঁজে পুরুলিয়ার গ্রামে চলে যাচ্ছেন পর্যটকরা। উদ্যান পালন দফতরও এনিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে। গাছটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই গাছ থেকে যাতে চারা তৈরি করা যায় তার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। কারণ পুরুলিয়ায় সাধারণত প্রাকৃতিকভাবেই পলাশ গাছ হয়। কেউ যাতে গাছের ক্ষতি করতে না পারে সেকারণে লিখে দেওয়া হয়েছে ডাল বা ফুলের ক্ষতি করলেই ১০ হাজার টাকা জরিমানা। সংগৃহীত ছবি
4/5কেন শ্বেতপলাশের এক চাহিদা? আসলে বলা হয়ে থাকে বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ, যৌন শক্তি বর্ধক ওষুধ তৈরি হয় এই শ্বেতপলাশ থেকে। ক্য়ানসার প্রতিরোধে এই শ্বেত পলাশ কাজে লাগে কি না তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে। তবে এর কোনও নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। প্রতীকী ছবি
5/5অনেকের বিশ্বাস শিবঠাকুরের নাকি ভীষণ প্রিয় এই শ্বেত পলাশ। গোটা দেশেই এই শ্বেতপলাশ ফুল তন্ত্র সাধনাতেও কাজে লাগানো হয়। অনেক সময় তান্ত্রিকরা এই গাছের নীচে সাধনা করেন। এই গাছের দর্শন পাওয়াকে পূণ্যলাভ বলে মনে করেন ভক্তরা। প্রতীকী ছবি