1/9বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে একটাই নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly)। রাজ্যের নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় উঠে এসেছে এই রহস্যময়ীর নাম। এই মামলায় গ্রেফতার তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের মুখেই উঠে এসেছে হৈমন্তীর নাম। (ছবি-ফেসবুক)
2/9কুন্তলের মুখে গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তীর নাম প্রকাশ্যে আসবার পর থেকে তাঁর খোঁজ সবমহলে। কিন্তু হৈমন্তীর খোঁজ মিলছে না। কোথায় তিনি? জবাব নেই পরিবারের কাছে। নাকি পুরোটাই গোপন রাখবার চেষ্টায় তাঁরা? দানা বাঁধছে রহস্য।
3/9ওড়ার বাঁকসারার মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হৈমন্তী। বাবা রেলে চাকরি করতেন। ছোট থেকেই গ্ল্যামার দুনিয়ার প্রতি টান ছিল হৈমন্তীর। ভালোবেসে গোপাল দলপতিকে বিয়ে করেন তিনি। তবে তাঁর পুরুষসঙ্গী নাকি ছিল অগুণতি।
4/9বেহালা মুচিপাড়া মোড় ৩৫৯ রাজা রামমোহন রায় রোডে দোতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন হৈমন্তী ও গোপাল দলপতি (আরমান)। উদ্দাম জীবনযাপন ছিল দম্পতির, অভিযোগ প্রতিবেশিদের। রাত বাড়লেই ফ্ল্য়াটে বসত ফূর্তির ফোয়ারা। দামি দামি গাড়ি এসে ভিড় করত ফ্ল্য়াটের সামনে।
5/9শুরু থেকেই হৈমন্তীর আচরণ পছন্দ হয়নি প্রতিবেশিদের। বেশিরভাগ সময় স্বল্প পোশাকেই দেখা মিলত তাঁর। এক প্রতিবেশি জানান, ‘তিনি কী করতেন কোথায় যেতেন কেউ কিছুই জানতেন না। রাতের অন্ধকারে অনেক দামি গাড়ি আসত ফ্ল্যাটে। স্বল্প পোশাক পরে গাড়িতে উঠে পড়তেন হৈমন্তী।’
6/9হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের পাশেই থাকেন অশোক সাঁধুখা। তিনি বিরক্তির সুরে জানিয়েছেন, ‘হৈমন্তীর জীবনযাত্রা আমাদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। রাতভর ফ্ল্যাটে বহিরাগতদের নিয়ে পার্টি করত। মদের বোতল খাবারের প্যাকেট জানালা দিয়ে ছুড়ে আমার বাড়ির ফাঁকা জমিতে ফেলতেন। এ নিয়ে একাধিকবার তাকে সতর্ক করেছিলাম, লাভ হয়নি।’ অশোক বাবুর গলায় আক্ষেপের সুর, ‘মদের বোতলের সঙ্গে অনেক কাগজও ছুঁড়ে ফেলতেন জানালা দিয়ে। জমি পরিষ্কারের সময় সেগুলি আবর্জনার সঙ্গে পুড়িয়ে দিতাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ওই সব কাগজ শিক্ষক নিয়োগ মামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।’
7/9টলিপাড়ায় ‘জাল’ নামের এক কম বাজেটের ছবিতে অভিনয় করেছেন হৈমন্তী। অচেনা উত্তম ছবিতে নার্সের চরিত্রে কাজ করেছেন। তবে পরিচালকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোয় ছবিতে নামমাত্র উপস্থিতি রয়েছে তাঁর। মডেল বা অভিনেত্রী হিসাবে সুবিধা করতে পারেননি হৈমন্তী। তাহলে তাঁর বিলাসবহুল জীবনের নেপথ্যের টাকার জোগান আসত কোথা থেকে?
8/9ইডি সূত্রে খবর, প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা হাতখরচ ছিল হৈমন্তীর। দু’টি দামি গাড়ি, ব্যয়বহুল পার্লারে সাজগোজ, পাঁচতারা হোটেলে পার্টি- হিসাব না রেখেই টাকা ওড়াতেন হৈমন্তী।
9/9তাহলে কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই হৈমন্তীর শখ-আহ্লাদ মিটত? গোপাল দলপতি অবশ্য বলেছেন এখন নাকি হৈমন্তীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে তাঁর। ডিভোর্সের পেপার হাতে আসেনি ঠিকই, তবে তাঁরা সেপারেটেড। এই দুর্নীতিতে হৈমন্তীর কোনও যোগ নেই, এমনটাও বলেছেন গোলাপ দলপতি।