সম্প্রতি এক ব্রিটিশ থিঙ্কট্যাংকের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে আকসাই চিনে গতিবিধি বেড়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মির। সঙ্গে এও জানা গিয়েছে, শুধু আকসাই চিন নয়, ডেপসাং এবং প্যাংগঙেও দখল করা জমিতে গতিবিধি বাড়িয়েছে চিন। এই আবহে ভারত নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করে ফেলছে চিনা সেনা।
1/5 জানা গিয়েছে, আকসাই চিনে চিনা সেনাদের থাকার জন্য অত্যাধুনিক ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া সেই অঞ্চলে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। ব্রিটিশ থিঙ্কট্যাংক ছাথাম হাউসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে নেওয়া বেশ কিছু উপগ্রহ চিত্রে এসব নির্মাণ কাজ ধরা পড়েছে। শুধু তাই নয়, আকসাই চিনের বিতর্কিত জমিতে একটি নয়া হেলিপোর্ট তৈরি করেছে চিন। সেই হেলিপোর্টে ১৮টি হ্যাঙার রয়েছে। সেখানে ড্রোনের জন্য ছোট রানওয়েও আছে।
2/5 এদিকে গালওয়ান উপত্যকায় বেশ কিছু চিনা বেসের সঙ্গে সড়কপথে সংযোগ স্থাপন হয়েছে ২০২০ সালের স্ট্যান্ডঅফের সেই স্থানের। পাহাড়ি নদীর পাশ দিয়ে এই রাস্তা প্রায় ভারত নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড পর্যন্ত চলে আসছে। প্রসঙ্গ, ৬ দশকে এই স্থানেই ভারত-চিন সংঘর্ষে প্রথম কোনও জওয়ান প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনাকর্মী শহিদ হয়েছিলেন। চিনেরও তরফেও বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে, তবে বেজিং আসল পরিসংখ্যান চেপে গিয়েছে।
3/5 এদিকে এখনও ডেপসাং এলাকায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহার হয়নি। এই আবহে এই অঞ্চলে চিনা সেনার গতিবিধি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিশ্বের সবথেকে উঁচু এবং ভারতের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত এয়ারস্ট্রিপ দৌলত বেগ ওল্ডির ওপর চাপ বাড়াতে এই অঞ্চলে টহল বাড়িয়েছে চিন। এই এয়ারস্ট্রিপের সাহায্যেই ভারত সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে সরঞ্চাম পাঠিয়ে থাকে। তাই এর গুরুত্ব সেনার কাছে অপরিসীম।
4/5 এদিকে ডেপসাঙের সমতল এলাকায় রাকি নালা অঞ্চলে চিনা আউটপোস্ট দাঁড়িয়ে আছে ভারত নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ড থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। এই আউটপোস্টের থেকে চিনা সেনা এসে যেকোনও সময় ভারতীয় টহল বাহিনীকে রুখে দিতে পারে। এর আগেও টহল দেওয়া নিয়ে ভারত, চিন বিবাদ ঘটেছে। ২০২০ সালের সংঘর্ষও টহল দেওয়াকে ঘিরেই হয়েছিল।
5/5 এদিকে প্যাংগং লেকে একটি সেতু নির্মাণের কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে চিন। এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে রুটগ সেনা ঘাঁটি থেকে অনায়াসে সীমান্তে সেনা মোতায়েন করতে পারবে চিন। এদিকে প্যাংগঙের আশেপাশে বহু উঁচু পাহাড়ের ওপর বসে রয়েছে চিনা সেনা। ক্রমাগত ভারতীয় সেনার ওপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এই পরিস্থিতিতে লাদাখে ভারতীয় সেনাকে দীর্ঘমেয়াদের জন্য প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েন রাখতে হবে। কারণ দফায় দফায় আলোচনায় কিছু এলাকায় সেনা প্রত্যাহার হলেও সার্বিক ভাবে চিনা সেনার গতিবিধি বেড়েই চলেছে এই অঞ্চলে।