PPF Scheme: দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা। মুদ্রাস্ফীতির আবহে টাকা জমানো ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। এই আবহে পিপিএফ স্কিম স্থায়ী আমানতকারীদের জন্য বেশ লাভজনক হতে পারে। এই স্কিমে মাসে মাসে মাত্র ১০০০ টাকা করে জমিয়েই মিলবে ১৮ লাখ টাকা। এই স্কিমের বিষয়ে জেনে রাখুন বিশদে:
1/4পিপিএফ এমন একটি স্কিম যা বিনিয়োগের উপর নিশ্চিত ভাবে রিটার্ন দেয়। ১৯৬৮ সালে জাতীয় সঞ্চয় সংস্থাকে ছোট সঞ্চয়ের লাভজনক বিনিয়োগের বিকল্প তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই পিপিএফ-এর শুরু। পিপিএফ-এ সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা হলে, বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদে খুব ভালো রিটার্ন আশা করতে পারেন।
2/4বর্তমানে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বছর ন্যূনতম পাঁচশো টাকা থেকে সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা জমা করার বিকল্প রয়েছে পিপিএফ-এ। একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ‘ম্যাচিউর’ করার সময়কাল ১৫ বছর। অ্যাকাউন্টটি ম্যাচিউর হওয়ার পরে একজন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন বা পাঁচ বছরের জন্য অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বাড়াতে পারেন।
3/4১৫ বছরের জন্য প্রতি মাসে ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করলে ১৫ বছরে তাদের জমা করা পরিমাণ ১.৮ লক্ষ টাকা হয়ে যাবে। ৭.১% সুদের হারে আপনি ১.৪৫ লক্ষ টাকা সুদ পাবেন। এর অর্থ, আপনার পিপিএফ অ্যাকাউন্টে মোট পরিমাণ ৩.২৫ লক্ষ টাকায় হয়ে যাবে৷ মাসিক হাজার টাকা জমা রাখার সময় ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হলে, এই পরিমাণ ৩.২৫ লক্ষ থেকে বেড়ে ৫.৩২ লক্ষ হবে৷ দ্বিতীয় বর্ধিত পাঁচ বছর মেয়াদকালে এই পরিমাণ ৮.২৪ লক্ষ টাকায় হয়ে যাবে৷
4/4তৃতীয় বর্ধিত পাঁচ বছর মেয়াদকালে এই পরিমাণ ৮.২৪ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ১২.৩৬ লক্ষ টাকা হয়ে যাবে৷ প্রাথমিক ১৫ বছরের মেয়াদের পর চার দফায় পাঁচ বছর করে মেয়াদ বৃদ্ধির পর, মোট ৩৫ বছর পরে অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত পরিমাণ ১৮.১৫ লক্ষ টাকায় হয়ে যাবে। আপনার কর্মজীবনের প্রথম থেকেই পিপিএফ-এ টাকা বিনিয়োগ করলে অবসরের সময় আপনি বড় পরিমাণ অর্থ হাতে পাবেন।